ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:০৭:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আইসিইউ থেকে কেবিনে কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫ সোমবার

ছেলের সঙ্গে ফরিদা পারভীন। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

ছেলের সঙ্গে ফরিদা পারভীন। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে জনপ্রিয় লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে। আগের চেয়ে তিনি এখন অনেকটাই ভালো আছেন। তবে তার সুস্থতার জন্য ভিজিটর নিয়ন্ত্রনের কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

মায়ের এ সুস্থতা কিছুটা নিশ্চিত করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। সামাজিকমাধ্যমে জানিয়েছেন সেই খুশির খবর।

তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা পারভীন। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে— ধরা পড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, রক্তে সংক্রমণ, কিডনি বিকল। চেতনা হারিয়ে ফেলেন। চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয় আইসিইউতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারপাশে নেমে আসে উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা আর প্রার্থনার ঘনঘটা।

দেশজুড়ে সংগীতানুরাগীরা তখন ফরিদার সুস্থতার জন্য প্রার্থনায় মুখর। অর্থ সংকটে না পড়ার জন্য এগিয়ে আসেন অনেক শুভার্থী। সে চেষ্টায় যেন সাড়া দেন সৃষ্টিকর্তা। দিন পেরিয়ে অবশেষে শুক্রবার (১২ জুলাই) শিল্পীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

ফেসবুকে ছেলে ইমাম জাফর নোমানী লেখেন, ‘আম্মাকে এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছেন ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো আগের মতো হয়ে যাবে। সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি, হাসপাতালে ভিড় না করতে।’

গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ফরিদার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। শুরু হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ। সপ্তাহে তিনবার চলছে ডায়ালাইসিস। এখনো পূর্ণ সুস্থ নন শিল্পী, তবে পরিবার আশাবাদী— খুব শিগগিরই বাসায় ফিরবেন তিনি।

রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ফরিদা পারভীন দেশজ সংগীতের অনন্য প্রতিভা। ১৯৮৭ সালে একুশে পদক, ২০০৮ সালে জাপানের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার এবং ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।