ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১৩:০৭:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

আজ দেশভ্রমণে সেঞ্চুরি করলেন এই দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

রেজাউল বাহার ও শারমীন শাহরিয়াত।  ছবি: সংগৃহীত।

রেজাউল বাহার ও শারমীন শাহরিয়াত। ছবি: সংগৃহীত।

ভ্রমণ করা তাদের নেশা। দেশ থেকে মহাদেশে ঘুরতে পছন্দ করেন তারা। বাংলাদেশি দম্পতি রেজাউল বাহার ও শারমীন শাহরিয়াতের কথা বলছি। ঘুরতে ঘুরতে এক নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন তারা। প্রথম বাংলাদেশি দম্পতি হিসেবে আজ ২১ নভেম্বর শততম দেশ ভ্রমণের সেঞ্চুরি করেছেন রেজা ও শারমীন।

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের ছেলে রেজাউল বাহার।  শারমীন শাহরিয়াতের বাড়ি কক্সবাজারের মেয়ে। দুজনই বেড়ে উঠেছেন প্রকৃতি ও নীল জলের ছোয়ায়। সে টান দানা বেধেছে তাদের রক্তকণিকায়। 

ভ্রমণের নেশায় দুজনই পাগলপার। ফাঁক পেলেই একসঙ্গে ছুটে চলেন এক দেশের সীমানা পেড়িয়ে অন্য দেশে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কোন মহাদেশের মাটি স্পর্শ করেনি তাদের পা!

 

শারমীন পেশায় ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা এবং রেজাউল প্রকৌশলী। চাকরি সূত্রে দুজনেই এখন থিতু হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তারা বিয়ে করেন ২০০৫ সালে। একসঙ্গে ভ্রমণ করেছেন সেই ২০০৮ সাল থেকে।

প্রথমবার গিয়েছিলেন বাহামায় দ্বীপপূঞ্জ ঘুরতে। তার পরে ভ্রমণের নেশা যেন পেয়ে বসে তাদের। দুজনে যা আয় করেন তার সিংহভাগই খরচ করেছেন ঘুরে বেড়াতে। দুজনেই পূর্ণকালীন চাকরি করেন। বছরে মাসখানেক তারা ছুটি পান। এই ছুটিগুলো কাজে লাগিয়ে নোঙর ফেলেন বন্দরে বন্দরে, দেশ থেকে দেশান্তরে। কারণ তাদের কাছে জীবন মানে যাপন নয়, উদযাপন!

 

২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১৫ বছর। ৫০তম দেশ হিসেবে গিয়েছিলেন জর্ডানে। আর সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকাতে এখন তারা আছেন ইন্দোনেশিয়ায়। ১৫ বছরের এই পথপরিক্রমায় সাত মহাদেশের ৪৫০টি শহরে গিয়েছেন। ৭৫০ দিন থেকেছেন ৩০০টি হোটেলে।  আকাশ ও সড়কপথে প্রায় পাঁচ লাখ মাইল পাড়ি দিতে হয়েছে এই দম্পতিকে। দুর্দান্ত এই যাত্রায় খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি টাকার বেশি। 

তারা সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন ইউক্রেনে। তাদের এই যাত্রায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল অ্যান্টার্কটিকা ভ্রমণ। অনিশ্চয়তা, আনন্দ আর উত্তেজনায় ভরা সেই ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। আর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সেঞ্চুরি ছুঁতে ১৭ নভেম্বর তারা রওনা দেন নিউইয়র্ক থেকে।

৯৯তম দেশ হিসেবে গিয়েছিলেন কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপে। উদ্দেশ্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মশালা আঙ্কোর ওয়াট মন্দির দেখা। শততম দেশের মাইলফলক ছোঁয়ায় বেশ রোমাঞ্চিত রেজাউল বাহার। 

তিনি বললেন, ‘২০ তারিখ রাতেই ঢাকা থেকে বন্ধুদের একটা দল পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছে। আজ দুপুরে বালি পৌঁছানোর কথা তাদের। আগামীকাল ঢাকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বন্ধুদের আরো দুটি দল আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। সবাইকে নিয়ে উদযাপন করব।’

আনন্দের এই ক্ষণেও নিজের শিকড়কে ভোলেননি রেজাউল। পটুয়াখালীর লোন্দায় নিজ গ্রামের মানুষের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছেন। 

রেজাউল বাহার বলেন, ‘মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয় দেখেছি নিজ গ্রাম লোন্দায়। প্রথম বাংলাদেশি দম্পতি হিসেবে আমরা ১০০ দেশ ঘুরেছি। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। নিজেদের এই আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়েছি গ্রামবাসীর সঙ্গে।’ 

এ প্রসঙ্গে শারমীন শাহরিয়াত বলেন, ‘১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কিন্তু জগৎটাকে দেখার এই নেশা চলবে। কোনো চাপ ছাড়াই ঘুরে বেড়াবো। কখনো কোনো মাইলফলক সামনে এলে ছুঁয়ে দেখবো, এই প্রত্যাশা।’