আনারসের গ্রাম আশাউড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ৫ জুন ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের গ্রাম আশাউড়া। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এ গ্রাম সবার কাছে আনারসের গ্রাম হিসেবেই বেশি পরিচিত। কারণ গ্রামের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে ছোট-বড় টিলায় লাগানো আনারসের সাড়ি। গ্রামের সড়কের পাশে কিংবা বাসা বাড়ির আঙিনায় কিছু না পেলেও আনারসের দেখা মিলবেই। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা অন্তত ১০০ টিলায় এ বছর আনারস চাষ হয়েছে।
তবে চাহিদা বেশি থাকায় অধিক উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের টিলা ছাড়াও আনারস চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের সীমানায় থাকা টিলাগুলো। ভারতের কাছ থেকে জায়গা লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ করছেন বাংলাদেশের চাষিরা।
অধিক মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় আশাউরার আনারসের খ্যাতি রয়েছে সুনামগঞ্জ জুড়ে। প্রতিবছর জেলার মানুষ অপেক্ষায় থাকেন কবে আশাউরার আনারস বাজারে আসবে। তাই এই আনারস বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আনারস চাষিরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিপক্ক আনারস সংগ্রহ করছেন তারা। এরপর সেই আনারস বাগান থেকে সরাসরি চলে আসে সুনামগঞ্জের বাজারে। সারা জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও যাচ্ছে আশাউড়ার আনারস।
স্থানীয় বাসিন্দা আজমত আলী বলেন, আমাদের এলাকার আবহাওয়া ও মাটি আনারসের জন্য উপযোগী। তাই আমাদের এলাকা আনারসের জন্য বিখ্যাত। সবাই আনারসের গ্রাম হিসেবে এক নামে আমাদের গ্রামকে চেনে।
আনারস বাগানের শ্রমিক অমিত রায় বলেন, এখন আনারস তোলার সময়। সারাবছর পরিচর্যা শেষে এখন আনারস কাটতে ব্যস্ত আমরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আনারস গাছ থেকে কেটে আনি। আনারসের গ্রাম হিসেবে পরিচিত হলেও আনারস বাজারজাত করণের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। প্রত্যেক বাগান সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন। জেলা শহরে যাওয়ার মূল সড়কের অবস্থাও নাজুক। ফলে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন আনারস চাষিরা। তবে, সড়ক যোগাযোগ ভালো হলে আনারস চাষের প্রতি কৃষকরা আরও উৎসাহিত হবেন।
কৃষক নিতাই দাস বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমাদের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো আছে। আমি এ বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার আনারস বিক্রি করতে পারব। তবে আমাদের যে প্রধান সমস্যা তা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যদি প্রয়োজনীয় সড়ক নির্মাণ করা হতো তাহলে সহজে শহরে আনারস পাঠাতে পারতাম। জেলা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যেত। আমাদের এলাকার কৃষক আনারস চাষে আরও উৎসাহ পেত।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সদর উপজেলার প্রায় ৫০০ কেয়ার জায়গায় আনারসের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে কৃষক ৬ কোটি টাকার আনারস বিক্রি করা সম্ভব হবে। বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এসে যার মূল্য হবে অন্তত ১০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো রাকিবুল আলম বলেন, সুনামগঞ্জের আশাউরা গ্রামে সবচেয়ে বেশি আনারস চাষ হয়। বাংলাদেশের জায়গার পাশাপাশি ভারতের জায়গা লিজ নিয়েও আনারস উৎপাদন করা হচ্ছে। এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষক খুশি। এই আনারস রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় এর খ্যাতিও বেশি। পুরো জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতেও যাচ্ছে এই আনারস।
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

