ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ২:২২:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

আমাদের জাতির পিতা এবং এক টুকরো সোনালী স্মৃতি

পারভীন সুলতানা ঝুমা | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৮ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২১ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সালটা ১৯৭২। ২১ ফেব্রুয়ারির কথা বলছি। কিছু দিন হলো ভারত থেকে ঢাকায় ফিরেছি আমরা। তখনও মোহম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় যাওয়া হয়নি আমাদের।সেখানে তখনও বিহারীরা ওৎ পেতে আছে।পরিবারের সবাই মিলে থাকছি নানার বাড়ি ধানমন্ডি ৩২নম্বরে।
ওদিন বাড়ির সামনের বড় গেটটায়  ঝুলে ঝুলে গল্প করছিলাম ছোট খালার সাথে। স্কুল বন্ধ আমাদের। এ সময় আব্বা আসলেন গাড়ি নিয়ে। তিনি নিজে গাড়ি চালাতেন।গাড়ি থেকে না নেমে জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আমাকে বললেন, উঠ।কোথায় যাবো, এ ধরনের প্রশ্ন করার প্রশ্নই উঠে না।
গাড়িতে উঠে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর একটা ছবি। তখনও বুঝতে পারিনি। একটু পরেই বঙ্গবন্ধুর বাসার সামনে গাড়িটা থামলো।ছবিটা নিয়ে নামতে বললেন আব্বা। তারপর আমাকে নিয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকলেন। আব্বাকে কেউ যেন কিছু বলছেন। কি বলছেন তা নিয়ে তখন ভাবিনি, এখন ভাবছি দেশের প্রেসিডেন্টর বাড়ির নিরাপত্তা কি সহজ ছিল। 
আমরা বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম। নিচেই দেখা হলো শেখ কামালের সঙ্গে। আব্বা বললেন, আমার মেয়ে। একটু লাজুক ধরনের মনে হলো। একটু হেসে বললেন, ‘ভাল’? আমি মাথা নাড়ালাম।
এরপর আব্বা হনহন করে সিড়ি দিয়ে উঠে গেলেন দোতলায়।পিছন পিছন আমি। একটা রুমে ঢুকলাম আমরা। দেখি বিরাট একটা খাটে লুঙ্গি আর সাদা পাঞ্জাবি পরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আধশোয়া। পিছনে বসে আছেন বেগম মুজিব এবং আরো অনেকে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও আছেন। আব্বা আমাকে বললেন, বঙ্গবন্ধু আর বেগম মুজিবকে সালাম করতে। আমি তাদের দুজনকে সালাম করলাম।
এরপর ছবিটা বঙ্গবন্ধুর দিকে এগিয়ে দিয়ে আব্বা অনেকটা আদেশের সুরে বললেন, এখানে আপনার অটোগ্রাফ দিন।কোনো প্রশ্ন না করে বঙ্গবন্ধু অটোগ্রাফ দিলেন। তারপর বললেন, ‘ওর নাম ঝুমা’। 
কারোর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নয়, কিংবা নিজেকে জাহির করার জন্য নয়।এত বছর পর কথাগুলো বললাম এ কারণে যে কত বড় মাপের একজন নেতা আমরা পেয়েছিলাম।সেটি ছিল আমাদের সৌভাগ্য। আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা আমাদের এই নেতাকে হত্যা করেছি। আজ উনি বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন কতটা হতো বা বর্তমানের মতো হতো কিনা তা আমি জানি না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ধারণা জাতি হিসেবে আমাদের যে নৈতিক অবক্ষয় তা পিতৃহত্যার অভিশাপ।