আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির শিকার: সামিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির ঘটনায় শাস্তি হিসেবে পদাবনতি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির শিকার আমি। আমাকে ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমি ন্যায়বিচার পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া রহমান এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ এবং আইনজীবী তুরিন আফরোজ।
চার বছর ধরে ‘হুমকিতে থাকায়’ গবেষণাকাজে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি জানিয়ে সামিয়া রহমান বলেন, যে গবেষণার লেখার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটা তিনি লেখেননি, জমাও দেননি। এই সংক্রান্ত প্রমাণও তার কাছে আছে।
এই ‘ষড়যন্ত্রের’ পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কেউ এবং কিছু শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেন সামিয়া রহমান। তবে তাদের নাম না বলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে তা বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সামিয়া রহমান বলেন, এ ঘটনার জন্য জার্নালের রিভিউয়ার ও বোর্ডের শাস্তির সুপারিশ ছিল। তাদের শাস্তি হয় না, কারণ তারা প্রতিষ্ঠিত বলে বিশ্ববিদ্যালয় তা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়, আর বলির পাঁঠা হই আমি। প্রতিহিংসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাজনীতির নোংরামির চরম শিকার হলাম আমি। শিকাগো জার্নালের যে ব্যক্তির ই-মেইলের কথা বলা হয়েছে, সেটি ভুয়া বলে দাবি করেন সামিয়া রহমান।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অভিযোগ ওঠার পর চার বছর তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে, যাতে এই গবেষণার বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলেন। তদন্তাধীন বিষয় বলে তার মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। সে সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গেলো ২৯ জানুয়ারি একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে সামিয়া রহমানসহ তিন শিক্ষককে পদাবনতি দেয়।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করেছে। এছাড়া সামিয়ার গবেষণা প্রবন্ধের সহলেখক অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে থাকতে হবে।
শাস্তির সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১৬ সালে সামিয়া ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা ছিল ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধের হুবহু নকল।
ওই সিন্ডিকেট সভায় পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির আরেক ঘটনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিলের পাশাপাশি তাকে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
-জেডসি
- কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের খবর দিল আবহাওয়া অফিস
- আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
- অবশেষে মধ্যরাতে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত
- বৃষ্টি আসছে, গরম কমবে এবার?
- টানা ৮ দফায় কমলো সোনার দাম
- জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী
- সবজির বাজারে স্বস্তি নেই
- যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি
- তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে যে পানীয়
- এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ
- সারাদেশে আজ স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ
- ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বজ্রসহ শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- নিউইয়র্কে ফিলিস্তিনপন্থী ৩০০ বিক্ষোভকারী আটক
- আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- ‘এক মাসে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা’
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- ঈদের কেনাকাটায় ফুটপাতই ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের