ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৪৮:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

উদ্যোক্তা শারলিনার এগিয়ে চলার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শারলিনা আলম,  চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা তার। পরিবারের সপ্তম সন্তান শারলিনা স্কুল জীবনেই মা-বাবাকে হারিয়েছেন। অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। 

চট্টগ্রাম সার্দাউন ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি এ করেছেন। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো তার জন্য ছিল অনেক কষ্টের।পড়াশোনা শেষ করে নিজের প্রচেষ্টায় কিছু করতে শারলিনা বেছে নেন ই-কমার্স উদ্যোক্তার পথ। ফেসবুক পেজ ‘কাবাবচিনি’ থেকে গড়ে তুলেন নিজের আলাদা পরিচয়। তার পেজের পণ্যের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি খাবার মেজবানি মাংসের মসলা। এছাড়াও আছে  চট্টগ্রামের বিখ্যাত মিষ্টি মরিচের গুঁড়ো, খাগড়াছড়ির হলুদের গুঁড়ো, কুমিল্লার চান্দিনার  ধনিয়া গুড়ো, জিরা, কাবাব মসলা, তন্দুরি মসলা, বিরিয়ানির মসলা, মাংসের মসলা, চাপ মসলা, মাছের মসলা, বারবিকিউ মসলা ইত্যাদি পণ্য।

ব্যবসা শুরুর গল্প জানতে চাইলে শারলিনা আলম বলেন, ‘ব্যবসার শুরুটা আসলেই অনেক কষ্টের ছিল।  তার উপর  আর্থিক সমস্যা। করোনাকালীনে ব্যবসার জন্য নিজেকে  তৈরি করা ছিল অনেক চ্যালেন্জিং ব্যাপার। আমার জমানো ৮ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করি। শুরুতে ঘরে বসে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতাম। আমার  প্রথম অর্ডার ছিল ৫০ গ্রাম মেজবানি মাংসের মসলা। যখন পণ্যের অর্ডার আসত তখন পণ্য রেডি করতাম। তবে এখন তা করতে হয় না। কেননা একটা মসলা দিয়ে শুরু করে এখন ১১ ধরণের মসলা নিয়ে কাজ করছি’।

তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় আমার মাকে দেখতাম বাসার সব মসলা নিজ হাতে করতেন। কারণ, বাজারের মসলাগুলোর  মান ভালো ছিল না। বিভিন্ন রং, মেয়াদ ছাড়া পণ্য ব্যবহার করা এসব ব্যাপার থেকেই আমার এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা। যখন নিজে কিছু করার চিন্তা করি- তখন মসলা পণ্য নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করি। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভালো  মানের পণ্য সরবরাহ করা।

আমি যখন অনলাইনে ব্যবসা শুরু করি, তখন আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনরা আমাকে বেশি সাপোর্ট করেছেন এবং এখনো করছেন। তাই আমি বলব তাদেরই ভূমিকা বেশি ছিল। তবে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বলব চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে ধৈর্য্য ও পরিশ্রমের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে’।

দেশে লকডাউনের সময়ে শারলিনার অনলাইনে শুরু করা ব্যবসার প্রথম বিক্রি ছিল ৬শ টাকার পণ্য। তারপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এভাবেই প্রায় ১৬ মাস যাবত সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন শারলিনা আলম।