ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৬:২৮:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাস: বহু বছর আগে থেকেই মানবদেহে ছিল!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৪ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০ রবিবার

প্রতীকি ছবি

প্রতীকি ছবি

মরণব্যাধি করোনাভাইরাস। গত বছর ডিসেম্বরে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে মহামারি আকার ধারণ করে গোটা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। তবে গবেষকরা দাবি করেছেন, এই ভাইরাস নাকি অনেক আগে থেকেই মানুষের শরীরে ছিল।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনাভাইরাস যা কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী সেই ভাইরাসটি কয়েক বছর ধরে এমনকি কয়েক দশক ধরে মানুষের মধ্যে উপস্থিত ছিল। হঠাৎ করেই ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা ভাইরাসটির বিবর্তনের অতীত সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞানীদের দেওয়া বিভিন্ন সূত্র নিয়ে গবেষণা করছিলেন। গবেষণায় তারা দেখতে পান চীনের উহানে প্রথম শনাক্তকরণের অনেক আগে থেকেই প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছিল এই মারণ ভাইরাস। তবে অন্য সম্ভাবনাও থাকতে পারে।

গবেষকদের মতে, করোনভাইরাস একটি অনন্য মিউটেশন (পরিবর্তনশীল চরিত্র) বহন করে। আর এটি সন্দেহজনক প্রাণীর দেহে পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষের মধ্যে বারবার ও ছোট আকারে সংক্রমণের সময় মিউটেশন হতে পারে। তাই তাদের ধারণা, এই ভাইরাসটি হয়তো অনেক আগে থেকেই মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্স জানান, করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হওয়ার আগেই প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে। তারপর কয়েক বছর বা সম্ভবত কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে ক্রমবিকাশের মাধ্যমে ভাইরাসটি শেষ পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এবং প্রাণহানির হুমকির ক্ষমতা অর্জন করে।

গবেষণাটি সম্পাদনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিটের ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রু র‌্যামবাউট, নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ান লিপকিন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডওয়ার্ড হোমস এবং নিউ অরলিন্সের তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবার্ট গ্যারি।

গত ১৭ মার্চ এই তাদের গবেষণাটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত হয়।