ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৪৩:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

করোনাভাইরাস: সীমিত পরিসরে খুললো পোশাক কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মধ্যেই সীমিত পরিসরে কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের দুই খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। রবিবার থেকে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ঢাকা ও আশপাশের অন্তত ২০০ কারখানা চালুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজিএমইএর সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে বিকেএমইএ কারখানার সংখ্যা তিনি জানাতে পারেনি। যেসব কারখানা চালু হবে সেখানে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ শ্রমিকের উপস্থিতির লক্ষ্য ধরেছে বিজিএমইএ। কেবল নিটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল সেকশন চালু করার পরামর্শ দিয়েছে বিকেএমইএ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিকেএমইএ নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাসরত বা কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকদের দিয়েই সীমিত আকারে কারখানার কার্যক্রম শুরু করবে। নারায়ণগঞ্জের বাইরের অন্য জেলায় বসবাসরত শ্রমিকদের এখনই কাজে যোগ না দেয়ার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে বিকেএমইএ।

বিকেএমইএ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে (কোভিড-১৯) বিভিন্ন দেশ একের একের পর এক লকডাউনের মুখোমুখি হয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের নিটওয়্যার পণ্যের ক্রেতা দেশগুলো একের পর এক অর্ডার বাতিল করে দেয়।

এ অবস্থায় পোশাক কারখানাগুলো সীমিত আকারে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে যেসব শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন তাদেরকে দিয়েই কারখানা চালুর কাজটি শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তে দূরে থাকা শ্রমিকদের যেন না ডেকে আনা হয় সেই নির্দেশনাও রয়েছে কারখানা চালুর নির্দেশনায়।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে পোশাক কারখানাগুলো। তার এক মাসের মাথায় জরুরি রপ্তানি আদেশ পালন করতে কিভাবে স্বল্প পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কারখানা চালু করা যায় সেই আলোচনা শুরু হয়।

মালিকপক্ষের পাশাপাশি খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকেও এই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার এই সময়ে সতর্কতার সঙ্গে কিভাবে কারখানা চালু করা যায় তার একটি প্রটোকল তৈরি করে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

-জেডসি