ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:২১:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বর্ষালী বেগুন চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর গাইবান্ধার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বর্ষালী বেগুন চাষ করতে শুরু করেছেন। আর এই বেগুন বাজারে বিক্রি করে অর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।  

ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ বলেন, গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর চর বাটিকামারী, কাপাসিয়া , কামারজানি, খারজানি, শ্রীপুর, বেলকা, পোড়ার চর জুড়ে উচু জমি থেকে পানি নেমে যেতেই চাষিরা বর্ষালী বেগুন চাষ করতে শুরু করেন। পলি মাটি পেয়ে বেগুনের ফলনও ভালো হয়েছে। জমি থেকেই ব্যাপারিরা প্রতি কেজি  বেগুন ৩০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় স্থানীয় হাট বাজারে চাহিদা মিটিয়ে এই বেগুন নৌকা যোগে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। 

কুন্দেরপাড়া চরের ছকমল চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার জমিতে প্রচুর পলি জমেছে। আমি চার হাজার টাকা খরচ করে ৫ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এতে খরচ উঠেও লাভ হয়েছে অন্তত ৫৬ হাজার টাকা।’ 

চর লালচামারের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ঘর মেরামতের পর জমিতে বিভিন্ন সবজির সঙ্গে বর্ষালী বেগুন ১ বিঘা জমিতে চাষ করি। অল্প যত্নেই বর্ষালী বেগুনের ভালো ফলন হয়। অনেকেই উচু চরের জমিতে বর্ষালী বেগুন চাষ করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়েছেন। অনেক চাষীর ভাগ্য বদল হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জের পোড়ারচরের সাবেক মেম্বর রাজা মিয়া বলেন, ‘আমরা তো চরের মানুষ। সুখ দুঃখ মিলিয়েই আমাদের জীবন। বন্যায় আমাদের এলাকা পানিতে ডুবে থাকে। পানি নেমে গেলে পলি জমি থাকায় জমির উর্বরতা অনেক বেড়ে যায়। আর এই পলিমাটি আমারদের খাবার যোগায়। এখনে যে কোনো সবজির বীজ রোপণ করলেই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।’ 

কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চরের মানুষ কাজে নেমে পড়ে । ঘর মেরামতের পর পলি পড়া জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। চরে চরে মরিচ, বেগুন লাগায়। অল্প যত্নেই ভালো ফলন হয়। উচু চরের বিভিন্ন স্থানে বর্ষালী বেগুন অনেক চাষির ভাগ্য বদলে দিয়েছে। তারা এই বেগুন বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্যন করছে।’ 

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন বলেন, এবারের বন্যায় চরাঞ্চলে বালির উপড়ে প্রচুর পলি জমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেকেই বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বেগুন চাষ করেছেন। কৃষকরা স্থানীয় বাজার ছাড়াও পাইকারি বাজারে তাদের উৎপাদিত বেগুন ১ হাজার ২০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন।