ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৯:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ঘরে ঘরে ছড়িয়েছে সর্দি কাশি জ্বর, বাড়ছে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দেশে গত কিছুদিনে মানুষের মধ্যে হাঁচি, কাশি, সর্দি-জ্বরের মত উপসর্গ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হারও বেড়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনে।

চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা, এটিকে শীতের সময়ের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করলে চলবে না। কারণ, ঠিক সময়ে এই সমস্যার চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। তাই বাচ্চা থেকে প্রবীণ, সকলকেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, এ সময়টাতে দিনের বেলায় গরম অনুভূত হচ্ছে, রাতে তাপমাত্রা নামছে। এই দ্রুত ফারাকের কারণেই অসুখ বাড়ছে বলে মত চিকিৎসকেদের। 

ঘরে ঘরে সর্দিগর্মির বিষয়ে সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় বলেন, সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের সাবধানে রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ঠান্ডা খাবার, পানীয়।

চিকিৎসক সুমন চৌধুরী বলেন, জ্বর, সর্দিকাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারণ, রাইনো, আরএসভি ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমলেও এই আবহাওয়ায় ফের অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানাচ্ছেন, এই সময় ছোট-বড় সকলের গলায় সংক্রমণ হচ্ছে। তাই তাদের প্রচুর জল খাওয়ানোর পাশাপাশি পরাতে হবে সঠিক পোশাক। 

বাজে আবহাওয়া থেকে নিরাপদে থাকতে বাচ্চাদের বাড়িতে বেশি থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসক আহমেদ ইউসুফ খান। তিনি জানান, সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়ে বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি, কাশি বাড়ে। আবার হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সেগুলিও মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। সেই জায়গায় এই ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে এরকম পরিস্থিতিতে সামনের কয়েক মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এ বছরের শুরু থেকে দুই মাসের কম সময়ে এরই মধ্যে কোভিড সংক্রমিত হয়ে ১১ জন মারা গেছে বলে জানা যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ কোভিড আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকে এ বছরের জানুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত চার মাসে কোভিড আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।

কিন্তু সেসময় থেকে গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছে ৬ জন আর জানুয়ারি মাসে মৃতু হয়েছে ৫ জনের।

গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে পুরো মাসে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২১০ জনের, সেখানে ফেব্রুয়ারির ১৭ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত এ সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৫৭ জন।

কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে মানুষের মধ্যে টেস্ট না করার প্রবণতা, ভ্যাকসিন না নেয়া ও নতুন ভ্যারিয়ারন্টের প্রভাবকে চিহ্নিত করছেন।