ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১১:২৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আরো ১০৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আরো ১০৫ জন

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আরো ১০৫ জন

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং ৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময় করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হারের বিচারে বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় সর্বনিম্ন। এ মাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার ছিল ১২ ডিসেম্বর ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এদিন ৭৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ১৭ ডিসেম্বর ৭৯ জন করোনাক্রান্ত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২৯ ডিসেম্বর নতুন ১২৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেলে ১ হাজার ৫৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ জন এবং সাত উপজেলার ১২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়া ও হাটহাজারীতে ৩ জন করে, রাউজানে ২ জন, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকু-, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে এখন ৩০ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৩ হাজার ৫৫৫ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৮৮৯ জন।
গতকালও চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৫৬ জন ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৪ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৯০ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৮৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২৫ হাজার ৫০১ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৮ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৮ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৫৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫৬৬ জনের নমুনায় ১৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৭ টি নমুনার ২১ টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১০৪ জনের মধ্যে ১৩ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৬ টি নমুনা পরীক্ষা হলে ১৬ টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৬১ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জন এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৯ জনের নমুনায় ১৭ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
এদিন চট্টগ্রামের ১৩৬ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ১টি ছাড়া অবশিষ্ট সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৬৫, চমেকে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৫ দশমিক ৩৩, চবি’তে ১২ দশমিক ৫০, আরটিআরএল-এ ৬১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, শেভরনে ৭ দশমিক ৪৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯ দশমিক ১০ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ দশমিক ৭৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।