ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৮:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন করোনা পজিটিভ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন করোনা পজিটিভ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন করোনা পজিটিভ

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংক্রমিত ৮২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ জন ও পাঁচ উপজেলার ৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী, পটিয়া ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং সীতাকুন্ডু ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ১০৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৭০২ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৪০৭ জন।

গতকাল সোমবার করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭০ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬৯ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার সনদ দেয়া হয় ৬৪ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩১ হাজার ৫৪০ জনে। এদের ৪ হাজার ৩৫০ জন হাসপাতালে ও ২৭ হাজার ১৯০ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে ৯৩২ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত ১৫ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি এ মাসে একবারই শতক পেরিয়ে যায়। অবশিষ্ট ১৫ দিনের মধ্যে গতকালের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনাভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। সেদিন ২ রোগীরও মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

করোনাকালের সর্বনিন্ম রেকর্ডটি ও এ মাসে। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া, গত তিন দিন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি একজন করোনা রোগী মারা যান।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৯৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৮টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৮ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪১ জনের নমুনা ৩ জন ভাইরাসবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২টি নমুনার ১টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।

নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৬টি নমুনায় ৭টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৮টির মধ্যে ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৩৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফল নেগেটিভ আসে।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চমেকে ১০ দশমিক ৯২, সিভাসু’তে ১৫ দশমিক ৩৮, চবিতে ৭ দশমিক ৩২, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ৪ দশমিক ৫৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯ দশমিক ৪৪ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।