ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১:২৭:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

চীনের শানসি’র বিখ্যাত জি-আন মসজি‌দ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৪৬ পিএম, ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার

চীনের শানসি’র বিখ্যাত জি-আন মসজি‌দ

চীনের শানসি’র বিখ্যাত জি-আন মসজি‌দ

চীনের শানসি (Shaanxi) প্রদেশের রাজধানী জি-আন (Xi'an) নগরীতে অবস্থিত জি-আন মসজিদটি চীনের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত। মসজিদটি ৩০ হুয়াজুয়ে রোডে অবস্থিত। এটি চীনের সবচেয়ে পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী মসজিদ হিসাবেও বিবেচিত।

বর্তমানে চীনে এই মসজিদটি পুরাকীর্তি হিসাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে দেশটির হুই জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদটি ব্যবহার করেন।

সাধারণভাবে মসজিদ যে ধরনের স্থাপত্যনকশায় নির্মাণ করা হয়, এই মসজিদটির নকশা তেমন নয়। সম্পূর্ণ চীনা স্থাপত্য কৌশল ও নকশায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদে কোনো গুম্বুজ বা মিনার নেই। মসজিদের ভিতরে আরবি হরফে কোরআনের বাণী লেখা আছে। এছাড়া অলঙ্করণে কিছু আরবীয় শৈলীর দেখা পাওয়া যায়। মূলত বৌদ্ধ-প্যাগোডার আদলে মসজিদটি তৈরি করা হয়। 

এই মসজিদটির মূল ভবন ২৪৮ দৈর্ঘ্য ও ৪৮ মিটার প্রস্থ জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মসজিদের বাইরের দেয়াল ঘেরা স্থানের পরিমাণ ১২,০০০ বর্গমিটার। 

মসজিদে প্রবেশের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি প্রবেশপথ আছে। এর পূর্বদিকের দেওয়ালে পলিশ করা ইট ব্যবহার করা হয়েছে। কাঠ, ইট, মার্বেল ইত্যাদির সমন্বয়ে মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সমগ্র মসজিদ এলাকাটি চারটি চত্বরে বিভক্ত। এর প্রথম চত্বরটিতে কাঠের খিলানযুক্ত একটি নির্মাণশৈলী রয়েছে। মসজিদটির উচ্চতা নয় মিটার। এর সাথে উজ্জ্বল সপ্তদশ শতাব্দীর টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রথম খিলানের পাশে রয়েছে অপর ৩টি নির্মাণশৈলী। এর ভিতরে রয়েছে মিং এবং কিং রাজবশীয় শাসনামলের আসাবাবপত্র। 

মসজিদটির দ্বিতীয় চত্বরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে একটি পাথুরে খিলান। এর সাথে যুক্ত ফলকে আরবি ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে। এর চতুর্থ চত্বরে রয়েছে বিশাল প্রার্থনা কক্ষ। এতে এক সাথে প্রায় ১ হাজার লোক নামজ পড়তে পারে।

৭৪২ খ্রিষ্টাব্দে থাং রাজবংশের শাসনামলে এই মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন শাসনামলে এর অল্প-বিস্তর সংস্কার হয়েছে। তবে ১৩৯২ খ্রিষ্টাব্দে মিং রাজবংশ-এর শাসনামলে চীনা নৌ-সেনাপতি (এডমিরাল) হাজি চেঙ হো এই মসজিদটি নতুনভাবে তৈরি করার উদ্দেশ্য ভিত্তি স্থাপন করেন। 

ইতিহাস বলছে,  ১৫শ শতাব্দীতে এই মসজিদটির সংস্কার করা হয়। সপ্তদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে এই মসজদটি বহুবার সংস্কার করা হয়েছে।

প্রতিদিন বহু লোক এই মসজিদটি পরিদর্শনে আসেন। এই মসজিদের চতুর্থ চত্বরে প্রধান নামাজ ঘরে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকের প্রবেশাধিকার নেই। ১৯৮৫ সালে ইউনেসকো এই মসজিদটিকে মুসলিম ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।