ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ১:৩৪:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু আজ হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

জন্মদিনে ঝলমলিয়ে উঠুক অষ্টাদশীর আরতি মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

স্বর্ণযুগের একজন বিখ্যাত গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়। যার লজ্জা জড়ানো ছন্দে আজও গানের পৃথিবী কম্পমান। আজ এই অষ্টাদশীর ৮১তম জন্মদিন।

আরতি মুখোপাধ্যায় ১৯৪৩ সালের ১৮ জুলায় ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। একটি সমৃদ্ধ, সাংস্কৃতিক এবং সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় বাড়িতেই ছোট বয়স থেকে তার মা তাকে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে পরিবারসহ কোলকাতায় আসার পর তিনি সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়, ওস্তাদ মোহাম্মদ সাগিরউদ্দিন খান, পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ী, পণ্ডিত লক্ষ্মণ প্রসাদ জয়পুরওয়ালা এবং পণ্ডিত রমেশ নাদকর্ণির অধীনে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

১৯৫৫ সালে অল ইন্ডিয়া মিউজিক ট্যালেন্টে অংশগ্রহণ করেন। পরে মেট্রো-মারফি প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন, যার বিচারক ছিলেন অনিল বিশ্বাস, নওশাদ, বসন্ত দেশাই এবং সি. রামচন্দ্রসহ সংগীত পরিচালকরা।

তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৫৮ সালে মিনা কুমারীর অভিনীত হিন্দি ছবি সাহারাতে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে প্রথম সুযোগ পান, কিন্তু সেই ছবির সংগীত ততটা সফল হয়নি। পরে, গার্ল ফ্রেন্ডের (ওয়াহিদা রেহমান অভিনীত) মতো ফ্লপ ছবির পরে তিনি বাংলা ছবিতে গান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুযোগ আসে ১৯৬২ সালে ‘কন্যা’ নামে একটি বাংলা ছবির হাত ধরে। তার অসামান্য গায়কী এবং অতি মধুর কণ্ঠ সবাইকে এতটাই মোহিত করেছিল যে ১৯৬৬ সালে ‘গল্প হলও সত্যি’ ছবিতে গান গেয়ে সেরা মহিলা নেপথ্য কণ্ঠশিল্পীর জন্য ‘বিএফজে’ পুরস্কার পেয়েছিলেন।

আরতি মুখোপাধ্যায় চলচ্চিত্র ছাড়াও, আরতি অ্যালবাম এবং রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুল গীতির টেলিভিশন ও মঞ্চে লাইভ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। ঠুমরি, ভজন, টপ্পা, তারানা এবং গজলের মতো বিভিন্ন ধারার সংগীতে তার বহুমুখিতা দেখা যায়। ধারণা করা হয়, তিনি বাংলা ভাষায় ১৫০০০ গান গেয়েছেন এবং হিন্দিসহ অন্যান্য ভাষার গানেও নিজের কৃতিত্বের ছাপ রেখে চলেছেন।

জন্মদিনে ঝলমলিয়ে উঠুক অষ্টাদশীর আরতি... জাফরানি ওই আলতা ঠোঁটে মিষ্টি হাসির গোলাপ ফুটুক আজীবন।