ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ২২:৫০:৫৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

জাপানি কাইজেন পদ্ধতি অনুসরণে সহজে আসবে সফলতা!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪০ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জাপানের একটি প্রাচীন পদ্ধতি কাইজেন, যা অনুসরণে সহজে আসবে জীবনে সফলতা! সাধ আর সাধ্যের বিস্তর ফারাক প্রায় মানুষের মাঝে দেখা যায়। ইচ্ছা, আহলাদ পূরণে কে না চায়। তবে কয়জন তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে যেতে পারে? তারপরও মানুষের চেষ্টার কোন কমতি থাকে না। 

জীবনের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে ব্যবধান নিয়ে মানসিক চাপে ভোগেন অনেকেই। কেউ স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় শরীরচর্চার সময় বের করে উঠতে পারেন না, কেউ বা এতো আলসেমিতে ভোগেন যে কাজের পর কাজ জমে যেতে থাকে কিন্তু করে হয়ে ওঠে না দিনের পর দিন। জীবনযাপনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বুঝেও নিজেকে পরিবর্তনের প্রেরণা খুঁজে পান না অনেকেই। কেউ কেউ আবার ভোগেন মানসিক অবসাদে। কিন্তু জানেন কি একটি জাপানি পদ্ধতি বদলে দিতে পারে সবই?  

জীবনে যে কোনো বড় লক্ষ্য একবারে পেতে চাইলে সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতার সম্ভবনাই বেশি। বিশেষত যারা একটানা মনসংযোগ বজায় রাখতে পারেন না তাদের পক্ষে তো সমস্যা আরও বেশি। তাদের জন্য সমাধান হতে পারে কাইজেন পদ্ধতি।

জাপানের একটি প্রাচীন পদ্ধতি হল কাইজেন। জীবনে ছোট ছোট অথচ নিয়মিত পরিবর্তন এনে শেষ পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে একটি বৃহৎ পরিবর্তন ঘটানোই এই পদ্ধতির মূল কথা। কাই শব্দের অর্থ হলো পরিবর্তন আর জেন এর অর্থ প্রজ্ঞা। তবে পদ্ধতিটির কোনো বদ্ধমূল নিয়ম কানুন না থাকলেও অনেকেই কাইজেনকে এক ধরনের জীবন চর্চা বলেও মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক-দু’মিনিটের মতো অল্পসময় নিয়েও এক একটি বিশেষ কাজ নিয়মিত করে চলা যায় তবে তা শেষ পর্যন্ত একটি বড়সড় বদল নিয়ে আসতে পারে জীবনে।

কিন্তু কীভাবে করবেন এর অনুশীলন? ধরুন আপনি কোনো একটি বই পড়তে চাইছেন দীর্ঘদিন কিন্তু পড়া হয়ে উঠছে না কিছুতেই। দিনের একটি সময় নির্দিষ্ট করুন বই পড়ার জন্য। বেশিক্ষণ নয়, বরং দু’-পাঁচ মিনিট সময় হলেই হবে। এবার রোজ নিয়ম করে ওই একই সময়ে দুই মিনিট ধরে পড়তে থাকুন বইটি। যতই অসুবিধা থাকুক, কোনোমতেই বন্ধ করা যাবে না এই অনুশীলন। করতে করতে অনিচ্ছা কমে আসবে অচিরেই। তারপর চাইলে বাড়িয়ে নিতে পারেন সময়। যেকোনো একটি কাজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিন কাজের সংখ্যা। দেখবেন ক্রমেই একাধিক কাজের জন্য বেরিয়ে আসবে সময়।

আপাতভাবে তুচ্ছ মনে হলেও গোটা বিষয়টির ভেতরে রয়েছে বিজ্ঞান চেতনা। আসলে যেকোনো বড় লক্ষ্য দেখলে সংশয় তৈরি করাই মস্তিষ্কের জন্য স্বাভাবিক। তাই বড় কোনো লক্ষ্যমাত্রা না রেখে তাকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভেঙে নিতে পারলেই কেল্লা ফতে। পাশাপাশি যেকোনো কাজেই প্রশিক্ষণ পেলে তা সম্পাদন করা সহজ হয় মস্তিষ্কের পক্ষে। এ পদ্ধতিতে কার্যত মস্তিস্ককে নিয়মিত কাজ করতে পারার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা