ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩১:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের জন্মদিন আজ ২১ অক্টোবর। গত শতকের ১৯০০ সালের আজকের দিনে আসামের গোয়ালপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

তাদের আদিবাড়ি সিলেট জেলায়। ১৯৭০ সালের ১১জুন তিনি মারা যান।

লীলা নাগের জীবন বৈচিত্রময়। তিনি একাধারে একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাংবাদিক, জনহিতৈষী এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। 

লীলা নাগ বাংলার নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবী। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী ছিলেন।

তার বাবা গিরীশচন্দ্রনাগ ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার বাবার পরিবার ছিল তৎকালীন সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতমনা ও শিক্ষিত একটি পরিবার। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে লীলা নাগ বিয়ে করেন বিপ্লবী অমিত রায়কে। বিবাহের পরে নাম হয় লীলা রায়।

তার ছাত্র জীবন শুরু হয় ঢাকার ইডেন স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং পদ্মাবতী স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ১৯২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯২৩ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী এমএ ডিগ্রীধারী। তখনকার পরিবেশে সহশিক্ষার কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে লীলা রায়ের মেধা ও আকাঙ্খা বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চান্সেলর ডঃ হার্টস তাকে পড়ার বিশেষ অনুমতি প্রদান করেন।

বাঙালি নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ঢাকার আরমানীটোলা বালিকা বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল এবং শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় (তৎকালীন নারীশিক্ষা মন্দির) প্রতিষ্ঠা করেন।

ভারত বিভাগের পর লীলা নাগ কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

লীলা রায় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন নেত্রী ছিলেন। এজন্য কয়েকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়। তিনি মহিলা সমাজে মুখপত্র হিসেবে “জয়শ্রী” নামে একটি পত্রিকা বের করেন। তিনি ছবি আঁকতেন এবং গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতে জানতেন।