ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩১:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার সব এলাকায় পানির দাম এক থাকা অযৌক্তিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৭ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি। তুলনামূলক কম উন্নত এলাকায় সে ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেই। আবার নগরের উচ্চবিত্ত ও উচ্চআয়ের মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি, দরিদ্র মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ কম। এই ধারণা থেকে সব এলাকায় পানির দাম একই থাকা যৌক্তিক নয়।

শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা’র গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, যাদের আয় কম তাদেরকে কম ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের আয় বেশি, তাদের বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। এই ধারণা থেকে পানির বিল সব জায়গায় যদি সমান হয়; গুলশানে যে বসবাস করে সেখানে অনেক বেশি সুবিধা। কিন্তু দরিদ্র এলাকায় বসবাসকারীদের সুবিধা কম। কিন্তু দুই এলাকার পানির বিল এক। এটা আমার কাছে যৌক্তিক কমে হয় না। সব জায়গায় পানি দাম একই হবে কেন?

গন্ধর্বপুরের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সারফেজ ওয়াটার’ বা নদীর পানিকে পরিশোধন করে পান উপযোগী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। যা ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানী ও আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ‘ঢাকা এনভায়রোমেন্টারি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ নামে এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় পৌঁছাবো।

গন্ধবপুর পানি শোধনাগারের নির্মাণকালের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে তারা কাজ করেছে। আমি নিজে এবং আমার মন্ত্রণালয়ের সবাই কাজ করেছি। আমি তাদের নির্দেশ নিয়েছি। তারা কাজ করেছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

প্রকল্প ব্যয়সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ আছে। ২০১৩ সালে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সে প্রকল্প ২০২০ সাল পর্যন্ত এসেছে। এসময়ের মধ্যে অনেক জিনিসের দামপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এক্ষেত্রে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

এসময় অন্যদের মধ্যে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ডিরেক্টর টেকনিক্যাল শহিদ উদ্দিন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

-জেডসি