ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৭:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য সম্পদে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে পদ্মা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ১৮ জুন ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দক্ষিণাঞ্চলের সামুদ্রিক মাছের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এ বন্দর থেকে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু কয়েক দশক ধরে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যথাসময়ে গন্তাব্যে পৌঁছাতে পারে না ব্যবসায়ীরা। অনেক সময় ফেরিঘাটে দিন পাড় হয়ে যায়। এতে মাছের গুণগত মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভালো দাম পায় না ব্যবসায়ীরা। পদ্মা সেতু চালু হলে মাছের ব্যবসায় আসবে আমূল পরিবর্তন। যার সুফল পাবেন ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিকরা।

পাথরঘাটা মৎস্যবন্দর সূত্রে যানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) প্রায় ৪ হাজার ৮শ’ মেট্রিকটন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি ছিল ইলিশ। অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করা মাছের ওপর শতকরা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার। পদ্মা সেতু চালু হলে আবতরণ কেন্দ্রটিতে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা মাছ কিনে বিক্রির জন্য দেশে বিভিন্ন বাজারে পাঠাই। সেখানে পৌঁছাতে আমাদের ফেরি পার হতে হয়। এতে অনেক সময় লাগে। মাঝে মাঝে ফেরি আটকে সময়মতো বাজার না পেলে অন্য বাজার খুঁজতে হয়। তাতে ইলিশসহ সব মাছেরই কালার নষ্ট হয়ে যায়। ভালো দামে বিক্রি করা যায় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে এসব সমস্যা আর থাকবে না। আমূল পরিবর্তন ঘটবে এই বন্দরে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের এই বৃহতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছের ব্যবসায় সুদিন ফিরে আসবে। সেতু না থাকায় মাছ কিনে ব্যবসায়ীরা সময়মতো গন্তাব্যে পৌঁছাত না। ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এতে মাছের মান নষ্ট হয়ে যায়, ভালো দাম পাওয়া যায় না। পদ্মা সেতু চালু হলে সকাল-বিকাল গাড়ি যেতে পারবে। এতে প্রতিদিনের মাছ প্রতিদিন বিক্রি হবে। রাজধানীবাসীরাও সমুদ্রের তাজা মাছ খেতে পারবে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট এম লুৎফর রহমান বলেন, ফেরিঘাটে যানজটের কারণে সাগরে মাছ শিকার করা অনেক ট্রলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসে না। পাথরঘাটা থেকে ব্যবসায়ীদের মাছ কিনে ফেরি পার হয়ে যেতে হয়। এতে আনেক সময় লাগে, সেইসঙ্গে গুণগত মানও কমে যায়। পদ্মা সেতু চালু হলে এখান থেকে কোনো ফেরি পার হতে হবে না। কম সময়েই দেশের যে কোনো জায়গায় পৌঁছা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, সেতু উদ্বোধন বন্দরে ট্রলার আসবে বেশি, ফলে বাড়বে এ অবতরণ কেন্দ্রের রাজস্ব আদায়। এছারা উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার জেলে ও শ্রমিক রয়েছে, তাদের সবার ভাগ্যের বড় একটি পরিবর্তন আনতে পারে এই সেতু।