ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৬:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

দেশে সচ্ছল পরিবারের ৪৭ ভাগ মেয়েশিশু অপুষ্টিতে বেড়ে উঠছে

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:০৪ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্রের হার কমে আসলেও পুষ্টিহীনতা এখনও একটি বড় সমস্যা হিসেবে থেকে গেছে। অনেক সচ্ছল পরিবারে অপুষ্টিতে শিশু বেড়ে উঠছে যার ৪৭ ভাগই মেয়ে।

 

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘পভার্টি এন্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি ২০১৮ : পাইসিং টুগেদার দ্য পভার্টি পাজল’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ বা খাদ্য নিরাপত্তা রয়েছে এমন পরিবারগুলোতে ৫৫ ভাগ ছেলে এবং ৪৭ ভাগ মেয়ে অপুষ্টিতে ভুগছে।

 

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে ২ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উচ্চ দারিদ্র্য হারের অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতির আকার বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।



দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলার আয়ের নিচে রয়েছে এমন মানুষদের দরিদ্র হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাংক। সে হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছরে বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে ৬ কোটি ৮৩ লাখ। এ সময়ে বিশ্বে ৮০ কোটি ৪২ লাখ থেকে কমে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ কোটি ৫৯ লাখে। দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২৭ কোটি ৪৫ লাখ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৬৪ লাখে। দুই বছরে দারিদ্র্য জয় করা মানুষের ৮৫ শতাংশের বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়।



বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, বিশ্বে এখন চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতে কম। বর্তমান প্রজন্মের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে হলে আমাদের আরো অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

আর্থিক সচ্ছলতা আসলেও পুষ্টিহীনতা বাংলাদেশে এখনও বড় সমস্যা। বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে ২ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে।

 

বাংলাদেশের মতো উচ্চ দারিদ্র্য হারের অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতির আকার বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের ঘরে নেমে আসে। চলতি বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা দেয়া হয়েছিল সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তবে এ লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। কারণ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমে এসেছে। এজন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

 


বিশেষ করে আফ্রিকায় সাহারা অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ক্যারোলিনা সানচেজ-প্যারামো বলেন, আফ্রিকার দারিদ্র্য হ্রাস করতে আমাদের আরো দৃষ্টি দিতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে যাতে করে উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং দরিদ্র মানুষের উতপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মূলত দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলার আয়ের নিচে রয়েছে এমন মানুষদের দরিদ্র হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাংক।

 

সে হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছরে বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে ৬ কোটি ৮৩ লাখ। এ সময়ে বিশ্বে ৮০ কোটি ৪২ লাখ থেকে কমে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ কোটি ৫৯ লাখে। দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২৭ কোটি ৪৫ লাখ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৬৪ লাখে। দুই বছরে দারিদ্র্য জয় করা মানুষের ৮৫ শতাংশের বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়।

 

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে। অঞ্চলটির ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ মানুষ এখনও দরিদ্র। সংখ্যার হিসাবে এর পরিমাণ ৪১ কোটি ৩৩ লাখ। ২০৩০ সালে বিশ্বের প্রতি ১০ জন অতিদরিদ্র মানুষের ৯ জনেরই আবাসস্থল হবে এ অঞ্চলে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্যের হার অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, গত ২৫ বছরে শতকোটির বেশি মানুষ অতি দারিদ্র্যের বাধা অতিক্রম করেছে। বিশ্বে এখন চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতে কম। বর্তমান প্রজন্মের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে হলে আমাদের আরো অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

 

বিশ্বব্যাংক নতুন হিসাব করে দেখিয়েছে যে, বিশ্বে বর্তমানে অর্ধেকের বেশি মানুষ দৈনিক সাড়ে ৫ ডলারের নিচে আয় করছে। ২০১৫ সালের হিসাবে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩ দশমিক ২০ ডলারের নিচে আয় করতো।

 

যে কোনো দেশের অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে তাদের চাহিদারও পরিবর্তন ঘটে। উহাদরণ হিসেবে বলা হয়েছে, দরিদ্র দেশে একটি মানুষ চাকরি নেবার জন্য তার পোশাক এবং খাদ্যের নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু ধনী দেশের এই চাহিদা আরেটু বেড়ে ইন্টারনেট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা এবং মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা দাবি করে। সেজন্য দরিদ্র হিসাবে যদি আয়ের স্তর উপরে উঠানো হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বে দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।