ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৪:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

পা দিয়ে লিখে ভর্তিযুদ্ধে অদম্য সুরাইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মেঝেতে পাটির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র রাখা। প্রশ্ন দেখে উত্তরপত্রে বৃত্তাকার ঘর পূরণ করছিলেন সুরাইয়া জাহান। ডান পায়ের দুই আঙুলের মধ্যে কলম রেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। রোববার ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন সুরাইয়া।
জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় সুরাইয়াকে। তার বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় গ্রামে। বাবা ছফির উদ্দিন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তিন মেয়ের মধ্যে সুরাইয়া সবার বড়।

পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সুরাইয়া যে কক্ষে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন, সেখানে বাইরে বসে ছিলেন তার মা মুর্শিদা ছফির। তিনি জানান, সুরাইয়ার দুটি হাতই বাঁকা ও শক্তিহীন। ঘাড়ও খানিকটা বাঁকা।

সুরাইয়ার বাবা ছফির উদ্দিন বলেন, ৬ বছর বয়সে সুরাইয়াকে আন্ধারিয়া সুতিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ২০১২ সালে সুরাইয়া জিপিএ ৩ দশমিক ৭৫ পেয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করে। পরে ভর্তি করা হয় আন্ধারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। 

২০১৫ সালে জিপিএ-৪ দশমিক ১১ পেয়ে জেএসসি পাস করে সুরাইয়া। ২০১৮ সালে ওই বিদ্যালয় থেকেই জিপিএ-৪ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তাকে শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করা হয়। ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ পান সুরাইয়া।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কেন্দ্রে একজন পরীক্ষার্থীই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। সারাদেশে অনেক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেমেয়ে আছে। কিন্তু বেশির ভাগই ঘরবন্দী। তাদের লেখাপড়ায় সহযোগিতার জন্য আশপাশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।