ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৭:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ জিতে কী বললেন রিচা

খেলাধুলা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার

রিচা ঘোষ

রিচা ঘোষ

প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার, যিনি বিশ্বকাপ জিতলেন। বঙ্গ ক্রিকেটের ইতিহাসে রিচার নাম যে সারাজীবন লেখা থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে আবেগপ্রবণ বঙ্গকন্যা। শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আবেগ সামলাতে পারেননি। তিনি জানালেন এই ম্যাচে নামার আগে তার পরিকল্পনা কী ছিল এবং কীভাবে স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামীরা যা করে দেখাতে পারেননি, সেটাই করলেন শিলিগুড়ির রিচা ঘোষ। প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার, যিনি বিশ্বকাপ জিতলেন। বঙ্গ ক্রিকেটের ইতিহাসে রিচার নাম যে সারাজীবন লেখা থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রবিবার রাতে, ঠিক সেটাই করলেন এই বঙ্গ সন্তান। 
ভারতীয় দলের এই সাফল্যে গোটা দেশ যেমন খুশি, তেমনই শিলিগুড়িতেও বাধনছাড়া উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। আর হবে নাই বা কেন, প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ, ঠিক সেই সঙ্গে, নিজের শহর ও রাজ্যের মেয়ের সাফল্য, সব মিলিয়ে উৎসবের চেহারা নেয় গোটা রাজ্য।
গোটা বিশ্বকাপে তিনি নিজের সেরাটা দিয়েছেন। পাশাপাশি ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ২৪ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রিচা। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৩ টি চার ও ২ টি ছক্কা দিয়ে। দুটি ছয় মেরে এদিন বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছয় মারার রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন রিচা। প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ উঠল তার হাতে। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন এই বঙ্গকন্যা। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ও শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আবেগ সামলাতে পারেননি। 
খেলার পর তিনি বলেন, এই বিশ্বকাপ খেতাবের জন্য আমরা বহু বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। কতবার স্বপ্ন দেখেছি, কবে হাতে তুলব এই ট্রফিটা! আজ সেটা সত্যি হলো। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
রিচার কথায় স্পষ্ট ছিল দলের আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা। তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটা আমাদের কাছে একেবারেই বিশেষ। নামার আগে, সময় আমরা সবাই জানতাম, এটাই আমাদের শেষ সুযোগ, তাই শুরু থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব। ফাইনালের চাপ স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি ছিল। কিন্তু আমরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছি। ম্যাচ জেতার জন্য যা দরকার ছিল, সেটাই করেছি।
ফাইনালে রিচার ব্যাটিং ছিল দলের জয়ের অন্যতম ভিত্তি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার একের পর এক বড় শট দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতাম, বড় শট হাঁকানোর ক্ষমতা আমার আছে। সতীর্থরাও সেই বিশ্বাস রেখেছিল। আমার প্রতি তাদের আস্থা, সেই বিশ্বাসই আজ আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
রিচার কথায় প্রতিফলিত হয়েছে ভারতীয় দলের নতুন মানসিকতা, ভয়হীন ক্রিকেট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নারী দল বেশ কয়েকবার ফাইনালে পৌঁছে গেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। সেই আক্ষেপ এবার ঘুচল। দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে প্রতিটি খেলোয়াড়ের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে এক স্বপ্নপূরণের আনন্দ।