প্রাথমিকে ছুটি কমাতে চাওয়ার কারণ কী
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক ছুটির সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা চলছে।
গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এই পরিকল্পনার কথা জানান। ছুটি কতদিন কমবে তা উল্লেখ করেননি। তবে সম্প্রতি শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সভা হয়। সেই সভা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন, ছুটি ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে ৫৬ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের শিক্ষাপঞ্জি তৈরির সময় এই পরিবর্তন আসতে পারে।
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট বার্ষিক ছুটি ৭৬ দিন। সংবাদ সম্মেলনে গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, বর্তমানে মাত্র ১৮০ দিন স্কুল খোলা থাকে। শিখন ঘাটতি কমাতে অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের শিক্ষাবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত না করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তবে প্রাথমিকের শিক্ষকরা বলছেন, ছুটি কমানোর আগে তাদের চাকরির ধরন ‘ভ্যানেশনাল’ থেকে ‘নন-ভ্যাকেশনাল’ করতে হবে। যাতে তারা অবসরের পর যথাযথভাবে ‘সার্ভিস বেনিফিট’ পান।
পাঁচ বছরের ছুটির চিত্র
দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ছুটির সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরে একটি আলোচিত বিষয়। বেশিরভাগ ছুটিই কাটানো হয় ধর্মীয় উৎসব ও ঋতুকেন্দ্রিক (শীত, গ্রীষ্ম) অবকাশযাপন ঘিরে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ছুটির ক্যালেন্ডারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট বার্ষিক ছুটি ৭৬ দিন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উৎসব (যেমন- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা), জাতীয় দিবস (স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস), গ্রীষ্মকালীন ও অতিরিক্ত প্রশাসনিক ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার, শনিবার) যোগ করলে বছরে পাঠদান কার্যক্রম চলে ১৮০ দিন।
ডিপিই অনুযায়ী, চলতি বছর একটানা সবচেয়ে বেশি ছুটি ছিল ২৮ দিন। পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই ছুটি শুরু হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ৬ এপ্রিল। গত ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে ২৩ জুন পর্যন্ত (১৫ দিন) চলে পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। চলতি মাসের ২৮ তারিখ থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত (৭ দিন) কাটানো হবে দুর্গাপুজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি। এ ছাড়া, এ বছরই আরেকটি দীর্ঘ ছুটি আছে। ১১ থেকে ২৫ ডিসেম্বর (১১ দিন) কাটানো হবে শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি।
প্রাথমিকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫ দিন করে ছুটি ছিল ২০২১ ও ২০২২ সালে। তখন একটানা সর্বোচ্চ ৩১ (২০২১) ও ৩৫ (২০২২) দিন ছুটি ছিল পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ কয়েকটি দিবস ঘিরে। ২০২৩ সালে বার্ষিক ছুটির সংখ্যা কমানো হয়। নির্ধারিত হয় ৫৪ দিন। আগের বছরগুলোতে রমজান ও ঈদে কাটানো প্রায় এক মাসের ছুটি কমিয়ে অর্ধেক (১৪ দিন) করা হয়।
২০২৪ সালের জন্য দুই দফায় ছুটির তালিকা প্রকাশ হয়। প্রথম তালিকা অনুযায়ী, মোট ছুটি ছিল ৬০ দিন (রমজান, ঈদে ২১)। কিন্তু তখন এ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রমজান ও ঈদের ছুটি সংখ্যা প্রায় এক মাস (২৯ দিন) করে। গ্রীষ্মকালীন মিলিয়ে মোট বার্ষিক ছুটি হয় ৭৬ দিন।
ছুটি কমাতে চাওয়ার কারণ
প্রাথমিকে ছুটি কমানোর বিষয়ে গত মে মাসেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। তখন নাটোরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের ১ নম্বর টার্গেট (লক্ষ্য) হচ্ছে, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের সময়টা, সেটা বাড়ানো।’
গত রবিবারের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি ছুটি কমানোর কারণ হিসেবে একই কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি যোগ করেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে সাক্ষরতা। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে সাক্ষরতা বাড়াতে কতগুলো প্রতিবন্ধকতা পার হতে হচ্ছে।
এরপর উপদেষ্টা বলেন, ‘স্কুলে যদি পড়াশোনা হতে হয় তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন। এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমত নির্ভর করছে কতদিন স্কুল খোলা থাকে। আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে স্কুল খোলা থাকে মাত্র ১৮০ দিন। পড়াশোনাটা যে হবে, স্কুল কত দিন খোলা পাচ্ছি? এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট অর্জনেও সরকার সাক্ষরতার ওপর জোর দিচ্ছে। বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জাতিসংঘের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও পুরুষসহ যুবসমাজের সবাই (বয়স্ক জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ) যাতে সাক্ষরতা ও গণন-দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও শিখনের সময় বাড়াতে চায় সরকার।
কোন ছুটিগুলো বাদ যাবে
গত রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কমানো হবে কি না। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু প্রাথমিকে সপ্তাহে একদিন ছুটি করার বিষয়টি কঠিন। তাই আপাতত লক্ষ্য হলো, ক্যালেন্ডারের ছুটি কমানো।
এর ব্যাখ্যায় উপদেষ্টা আরও বলেছেন, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক ধরনের দাবি আছে। শিক্ষকরা হচ্ছেন ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্টে, নন-ভ্যাকেশনাল হতে চাইলে এটার সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লেষের প্রসঙ্গ আছে। ফলে এ ধরনের একটা চিন্তা আছে, তবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে কিছুটা কমিয়ে আনব।
কী প্রভাব পড়তে পারে
ছুটির সংখ্যা কমালে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব পড়তে পারে। ইতিবাচক প্রভাবের মধ্যে আছে, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল ও দক্ষতা বাড়বে। মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত হলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও বাড়বে। এ ছাড়া, শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণ পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ দেবে।
অপরদিকে নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে- অনেক চাকরিজীবী অভিভাবকদের জন্য সন্তানদের দেখাশোনা চ্যালেঞ্জিং হবে, বিশেষ করে গরমকালে। আবার দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় (বন্যা, ঘূর্ণিঝড়) অতিরিক্ত ছুটি এড়ানো কঠিন হতে পারে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেখল দয়াময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নেছা চৌধুরী মনে করেন, ছুটি কমালে বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়ও কমানো উচিত। কারণ, এক শিফটের বিদ্যালয়ে পাঠদান চলে সকাল নয়টা থেকে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময়ে শিক্ষার্থীরাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই ছুটি কমালে তাদের ওপরও প্রভাব পড়বে।
শিক্ষকরা যা বলছেন
গত রবিবার গণমাধ্যমে ছুটি কমানোর বিষয়ে উপদেষ্টার বক্তব্য সাংবাদিকের কাছে থেকে শুনেছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর আলমগীর খন্দকার। তিনি কুমারগাড়ী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আলমগীর খন্দকার বলছেন, ছুটি কমানোর বিষয়টি একদিক থেকে ইতিবাচক। তবে এটি বাস্তবায়নের আগে প্রাথমিকের শিক্ষকদের কিছু দাবি পূরণ করা জরুরি। এর মধ্যে আছে চাকরির ধরন ভ্যাকেশনাল থেকে নন-ভ্যাকেশনাল করা।
আলমগীর খন্দকার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষকদের চকরির ধরন ভ্যাকেশনাল হওয়ায় নানা ধরনের ছুটি পান। কিন্তু অবসরের পর তাদের সার্ভিস বেনিফিট কম হয়। বিপরীতে যারা নন-ভ্যাকেশনাল তাদের সুবিধা বেশি হয়। আবার কিছু দিবস ছুটির তালিকায় থাকলেও ওইদিনও শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। যা একটি কর্মদিবসের মতোই। সুতরাং ছুটি কমানোর আগে এসব দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন।
নন ভ্যাকেশনালের দাবি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ শামসুদ্দিন মাসুদ বলছেন, নন ভ্যাকেশনালরা প্রতি ৩ বছর পর পর ১৫ দিনের ছুটিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পান। ভ্যাকেশনালরা আলাদা করে এই ছুটি পান না। এগুলো রমজানের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় হয়। কিন্তু রমজান মাস প্রতি বছর ১৫ দিন করে এগিয়ে আসার কারণে তিন বছর পর এই ছুটি আর সময় মতো পাওয়া যায় না। এটি পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। আবার প্রাথমিকের শিক্ষকদের অবসরের পর ১৮ মাসের থোক ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু চাকরির ধরন ভ্যাকেশনাল হওয়ার কারণে তারা এই ভাতার অর্ধেক পান।
শামসুদ্দিন বলছেন, সরকার ছুটি কমিয়ে দিক। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছেন, সেগুলো আগে বাস্তবায়ন করুক। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, প্রধান শিক্ষকের পদে শতভাগ পদোন্নতি, সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করা এবং চাকরির বয়স ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২০০
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- এআই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলেন রোনালদো
- কনার নতুন ছবি ঘিরে বিয়ের গুঞ্জন
- নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার ৫০ থানার ওসি বদলি
- ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া
- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
- বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত
- বিশৃঙ্খলায় ডুবছে গ্রোকিপিডিয়া
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল
- খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান
- ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’
- পুতিনকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি
- নাসরিনের অধিনায়ক সানজিদা, সাবিনা-মাসুরারা অন্য ক্যাম্পে
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
- বিয়ে নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রাশমিকা
- হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায়
- আজ মধ্যরাতে লন্ডনে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
- ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’
- আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা
- বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে
- তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা
- খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু
- বিশৃঙ্খলায় ডুবছে গ্রোকিপিডিয়া








