ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩০:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

ফেরি চলাচল বন্ধ, ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ৮ মে ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। দক্ষিণাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ ঈদের আগে গ্রামে ফিরতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পদ্মার পাড়ে। যে যেভাবে পারছে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণরোধে শনিবার থেকে পদ্মায় মাওয়া-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও থামেনি ঘরমুখো মানুষের ঢল। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন।

অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ- বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২ শ’ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। ফেরিটি বেলা ১১টার দিকে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে পোঁছায়। ওই ফেরিতে কোনো যানবাহন তোলার সুযোগ ছিল না। কারণ, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিমুলিয়া-মাওয়া ফেরিঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে। ঘরমুখো মানুষ দল বেঁধে ফেরিতে উঠে পড়ায় যানবাহন তোলার সুযোগ ছিল না। ফলে ফেরিতে ১২ শ’ যাত্রী পদ্মা পার হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে আগের দিনের মতো শনিবারও সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এর মধ্যে নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ সব দিক বিবেচনা করে শনিবার সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাওয়ায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়।

বিআইডাব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, এ নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছিল। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, যাত্রীদের কারণে ফেরিগুলোতে গাড়ি লোড করা যাচ্ছে না। ফেরিঘাটে এলেই যাত্রীরা তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মহামারী সংক্রামণরোধে মাওয়া ঘাটের ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পদ্মা পাড়ির কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। লঞ্চ স্পিডবোট, ফেরি, ট্রলার সব বন্ধ। প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। নদীতে নৌপুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। সকালে মাওয়া মৎস্য আড়তে পাশে পদ্মা নদীতে ট্রলারে করে মানুষ পদ্মা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দেয়। ঘাটে পুলিশ সেনাবাহিনী, বিজিবি রয়েছে। ঘাটে আসা জনগণকে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। কেউ কেউ ফিরে গেলেও অধিকাংশই ঘাটে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছে। ঘাট এলাকায় শতশত যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে আবার হেঁটে পরিবার নিয়ে ঘাটে পৌঁছেছেন। এখন ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এমনকি অনেকের কাছে ফিরে যাওয়ার ভাড়া পর্যন্ত নেই। আবার কেউ কেউ মনে করছেন একটা সময় ফেরি ছাড়বে তখন তারা যাবেন। তাই ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন তারা।


-জেডসি