ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৭:৫৫:১০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

বন্যার প্রভাবে সবজির দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তে থাকলেও গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এতে কম আয়ের মানুষ নাভিশ্বাস হয়ে উঠলেও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই বাজার সেরে ঘরে ফিরছেন তারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, পলাশী ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিটি সবজির দাম চড়া। কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। শুধুমাত্র কচু ৫০ টাকার নিচে কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সবজি সংকটের কারণে বাজারভেদে দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কারওয়ানবাজারে প্রতিকেজি বেগুন পাইকারিতে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও পলাশীতে খুচরায় তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ধনিয়া পাতার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭৫ টাকা, উস্তা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দলে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া কলা, কাঁচামরিচের দাম অপরিবর্তিত আছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ ১৮০ টাকা, দেশি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ধনিয়া পাতা কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।

সবজির সঙ্গে বাড়তি দাম রয়েছে শাকের বাজারেও। শাকভেদে প্রতিমোড়ায় দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, মূলা ও কলমি শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০-৫০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার কারণে যেসব এলাকায় সবজির চাষ হয়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্ফ্মকালীন সবজির মৌসুমের এ সময়ে এমনিতেই জোগান কম থাকে। এ অবস্থায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সবজিও কম আসছে। ফলে বাজারে সবজি কম, দাম বাড়ছে এতে।

পলাশী বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বন্যার কারণে সারাদেশে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্য বাজারে সবজি কম আসায় দাম বেড়েছে।

সবজি কিনতে আসা একজন বলেন, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতা। এমন দাম কখনো দেখিনি। অন্যান্য সবজির দামও অনেক বেশি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। উপায় না পেয়ে অল্প করে সবজি কিনেছি।

সবজির দাম বাড়লেও অনেকটা স্বাভাবিক আছে গরুর মাংস, মুরগি, মাছের দাম।

-জেডসি