ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২৯:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুখবর দিল অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪১ এএম, ৩ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুখবর শুনিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টুডেন্ট ভিসা এভিডেন্সিয়ারি ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো লেভেল-১ এ অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বার্তায় জানিয়েছে, ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভিসা ফলাফলের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর এভিডেন্স লেভেল হালনাগাদ করা হয়েছে। এটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

এই প্রথম বাংলাদেশ লেভেল-১ মর্যাদা পেল। এতে উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির শর্তগুলোও তুলনামূলক শিথিল হবে। বার্তার পর দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি এজেন্সি ও কনসালটেন্সিকে আপডেট জানিয়েছে।  

২০১৮ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এসেসমেন্ট লেভেলের তৃতীয় ধাপে অবস্থান করছিল বাংলাদেশ। এ কারণে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতেন শিক্ষার্থীরা। লেভেল-১ এ উন্নীত হওয়ায় এখন তুলনামূলক কম খরচে, দ্রুত ও সহজ কয়েকটি ধাপেই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ—

* উচ্চ ঝুঁকির দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর কাগজপত্র জমা দেওয়ার শর্ত থাকে। যাতে ভিসা জালিয়াতি, অতিরিক্ত থাকা বা অনিয়ম কমানো যায়।

* নিম্ন ঝুঁকির দেশ থেকে আবেদনকারীরা তুলনামূলকভাবে সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। 

* এই ব্যবস্থা মূলত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের জন্য, যাতে প্রকৃত শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় এবং সিস্টেমের সততা বজায় থাকে।

প্রতিটি দেশের ছাত্র ভিসার ইতিহাস, ভিসা বাতিলের হার, ভিসা অতিক্রম করে অবস্থান করা, মিথ্যা বা জাল নথি জমা দেওয়ার ঘটনা ইত্যাদি তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি লেভেল তৈরি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

লেভেল ১ এ বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা আছে। দুইয়ে আছে ভারত, ভুটান, ভিয়েতনাম, চীন ও নেপাল। তিন নম্বরে আছে ফিজি, ফিলিপাইন ও পাকিস্তান। সবশেষ ধাপটির অর্থ—সর্বাধিক কঠোর প্রক্রিয়া, দীর্ঘ সময় এবং বাতিল হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দুই নম্বরেও ঝুঁকি আছে। তবে তুলনামূলক কম। কিন্তু অতিরিক্ত নথি যেমন ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ বা আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ চাইতে পারে। লেভেল ১ এ থাকা দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে দ্রুত ও সহজ প্রক্রিয়া হবে, আবেদনকারীর কাগজও প্রয়োজন সীমিত।