ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:৩১:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

বাজারে নেই সুখবর, উত্তাপ চলছে নিত্যপণ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। তবে বাজারে কোনো সুসংবাদ নেই। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো পণ্যের দাম না কমলেও নতুন করে বেড়েছে পোলট্রি পণ্যসহ সব ধরনের সবজির দাম। এছাড়া চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে চিনি, মসলাসহ মাছের বাজারেও।

সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২১৫-২৩০ টাকা, যা  একইভাবে কেজিতে প্রায় ২০-৩০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৪০থেকে ৩৫০ টাকা এবং ১০ টাকা বেড়ে ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

অন্যদিকে উত্তাপ অব্যাহত রয়েছে কাঁচা মরিচসহ বেশিরভাগ সবজির দামে। এদিনও মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে টমেটোর দাম, মাত্র একদিনের ব্যবধানে ভালোমানের পাকা টমেটোতে বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০টাকায়। বাড়তির দিকে রয়েছে করোল্লা, কচুরলতি, লাউ, পটল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল ও বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির দাম। যা বিক্রি হয়েছে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে কিন্তু পাইকারিতে এদিন সব সবজি বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। তবে অতিরিক্ত দামের কারণে ক্রেতারা কম কিনছেন। রায়েরবাগ বাজারে সবজি কিনতে আসা আতিকা বলেন, দুইপদের সবজি কিনতে প্রায় ২শ‍‍` টাকা লাগে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় পরিমাণে কম কিনেছি। আরেক ক্রেতা গোফরান বলেন, গতকাল যে সবজি ৭০ টাকা ছিল আজ তা ৯০ টাকা। তাই আধা কেজি পরিমাণে কিনেছি।

ব্রয়লার ও সবজির পাশাপাশি বেড়েছে মাছের দামও। তবে এদিনও বাজারগুলোতে অনেক দোকান বন্ধ ছিল। ফলে মাছের ক্রেতাদের জন্য বিকল্প কম ছিল। আকার ভেদে ঈদ পরবর্তী বাজারে কেজিতে বিভিন্ন মাছের দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিন রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০, কালিবাউশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০, শোল মাছ ৮০০, পাবদা ৬০০, ট্যাংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, রূপচাদা ৭০০, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০, গুড়ামাছ ৪৫০, ছোট চিংড়ি ৫শ‍‍`, গলদা চিংড়ি ৬০০, বাগদা ৮০০ থেকে ৯০০, পাঙ্গাস ২১০ থেকে ২৮০ এবং চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

 এদিকে ঈদের আগে চিনির ব্যবসায়ীরা ট্যারিফ কমিশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নতুন দাম ঘোষণা করে। বাজারে সে দামই কার্যকর রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকার উপরে। যা নির্ধারিত দামের থেকে ২০ টাকা বেশি। তবে এ সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দাম নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।

এদিকে বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করলে নির্দেশনা থাকা সত্ত্ব্বেও ভোক্তা অধিকারের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর কিছু বাজারে কাঁচা মরিচে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগে অনেককেই জরিমানা করেছে সংস্থাটি। চিনি বিক্রেতারা বলেন, ঈদের আগে সরবরাহকারীরা রশিদ দেয়নি কিন্তু এখন দিচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের কোনো সমস্যা হবে না।

 
এছাড়াও ঈদপূর্ব দাম অব্যাহত রয়েছে পেঁয়াজের বাজারে। এদিন প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে। বাজারে এখনো চড়া সব ধরনের মসলার দাম। ঈদের পর আরেক দফা বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বড় রসুন বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা এবং ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে বার্মা আদা কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান ঈদের আগে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে আদা আমদানি করা হলেও তা দ্রম্নত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বার্মা আদার কদর ও দাম দুই-ই বেড়েছে।

কাপ্তান বাজারে কথা হয় খুচরা বিক্রেতা কবির হোসেনের সাথে। তিনি  বলেন, বর্ষায় সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজির ট্রাক সময়মতো ঢাকায় আসছে না। এসব কারণে হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে গেছে।  এভাবে আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে সবজির দাম আগের বাড়তি দামের কাছে পৌঁছে যাবে।

 অন্যদিকে পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজের চালান আসলেও দাম কমছে না পেঁয়াজের।

কাপ্তান বাজারে কথা হয় ক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, কিছুদিনের জন্য সবজির দাম কমেছিল ঠিকই। কিন্তু আবার দাম বেড়ে গেলো।