ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৮:২৭:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাণিজ্যিকভাবে প্রথম লাল আঙ্গুর চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি প্রজাতির লাল রঙের আঙ্গুরের চাষা করে সফল হয়েছেন হাসেম আলী। দুই বিঘা জমিতে টানা দেড় বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদেশি প্রজাতির আঙ্গুরের চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন এই কৃষি উদ্যোক্তা। স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় অধিক লাভের আশা করছেন তিনি।


উপজেলা আজোয়াটারী এলাকায় দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি প্রজাতির আঙ্গুরের চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। টানা দুই বছর পরিশ্রমের পর অবশেষে সফলতা পেয়েছেন। এখন তার বাগানে ২০০ থেকে ২৫০টি আঙ্গুরের গাছ রয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে বাগানের প্রায় ৪০টি গাছে আঙ্গুর এসেছে। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ আঙ্গুর বাগান দেখতে ভিড় করছেন। বাগানে আঙ্গুর ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের প্রায় দুই শতাধিক ফলের গাছ রয়েছে। হাসেম আলীর আঙ্গুর বাগানের সফলতা দেখে অনেকেই তার কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী বলেন, কীভাবে আঙ্গুরের চাষাবাদ করে সেটি ইউটিউবে দেখে আমার বন্ধু ও ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন সহযোগিতা করেন। দুই বছর আগে তার মাধ্যমেই রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রীনলং, একেলো, এনজেলিকাসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করি। তবে আঙ্গুরের বাগান দেয়ায় এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতো। কোনোভাবেই এই মাটিতে আঙ্গুরের চাষ হবে না। তবে কখনও হতাশ হয়নি। আমার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছি।

গত বছর কয়েকটি গাছে ফলন আশায় বিশ্বাস এসেছে যে আমার স্বপ্ন পুরণ হতে চলছে। আল্লাহের অশেষ রহমতে এ বছর প্রায় ৪০টি গাছে থোঁকায় থোঁকায় আঙ্গুর ধরেছে। আমিও কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না যে এভাবে গাছে গাছে ফলন আসবে। সব বাঁধা পেরিয়ে ৩০০ টাকা কেজি করে দেড় মণ আঙ্গুর বিক্রি করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে আরও দেড় মণ আঙ্গুর বিক্রি করতে পারব।

এ পর্যন্ত আঙ্গুর চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। দেড় মণ আঙ্গুর ও বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি করে এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা এসেছে। প্রতিদিন শত শত আঙ্গুরের চারা ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পিস বিক্রি করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আবাদি জমি হলেও বেলে-দোঁয়াশ মাটি হওয়ায় আঙ্গুরের ফলন ও খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেকেই তার কাছে বিভিন্ন জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে হাসেম আলীসহ যারা আঙ্গুরের চাষ করেছেন তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।