ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৯:২৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে

বাহারি ফুলে সেজেছে বেরোবি ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ৯ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কোথাও হলুদ, বেগুনি আবার কোথাও লাল, আবার কোথাও লাল-বেগুনি-হলুদ মিশ্রিত কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালী ফুলের বাহারি রঙ্গে অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত হয়ে উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও রাস্তার দুই পাশে দেখা মেলে লাল, বেগুনি আর হলুদ ফুলের।

ক্যাম্পাসে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি। এসব গাছে গ্রীষ্মের খরতাপে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে রক্তিম লাল আভা ধারণ করেছে। এসব গাছের ফুল অপরূপ সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছে ক্যাম্পাসটিকে। এ গাছগুলোর কারণে সড়কটির নামও হয়েছে কৃষ্ণচূড়া সড়ক। কৃষ্ণচূড়া সড়ক ছাড়াও ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণ ও ভিসি রোডে দেখা মেলে কৃষ্ণচূড়ার। 

প্রধান সড়কের ধারে ও পুলিশ ক্যাম্পের পেছনে সারি সারি লাগানো হয়েছে জারুল গাছ। এসব গাছে ফুটেছে বেগুনি রংয়ের জারুল ফুল। এসব ফুল দেখতে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয়। ফুলগুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, শিক্ষক ডরমিটরি, বিজয় সড়ক, ভিসি বাংলোর পাশে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের ফুল। লাল, বেগুনি ও হলুদের মিশ্রণে পুরো ক্যাম্পাস যেন পেয়েছে নতুন এক মাত্রা। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা সবুজের বুকে লাল ও হলুদ রংয়ের মায়াবী জগত।

বৈশাখের রোদ্দুরে সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি; সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়া, জারুলের ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় অবসন্ন শিক্ষার্থীদের মনে।

ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। কেউবা আসছেন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখতে, কেউবা আসছেন মন ভালো করতে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর ক্যাম্পাসে এসে খুবই ভালো লাগছে। কৃষ্ণচূড়া-জারুল ফুল ফুটে ক্যাম্পাসটি যেন নতুন রূপে সেজেছে। জারুল ফুলগুলো রাস্তার ধারে হওয়ায় দূর থেকে ক্যাম্পাসটিকে ফুলের বাগানের মতো মনে হয়।

ক্যাম্পাসে ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে তুলতে কুলসুম আরা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসটিকে তার খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে ক্যাম্পাসটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তার মন খারাপ হলেই ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। ক্যাম্পাসের প্রকৃতির সঙ্গে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়।

দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে এসে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে হোমায়রা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রমজান মাসে যখন ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিলাম তখন তেমন ফুল ছিল না ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। এখন ছুটির পর ক্যাম্পাসে এসে দেখি ফুলে ফুলে ক্যাম্পাস ভরে উঠেছে। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ।