ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২:৪২:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

বিশ্বের ১০ বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভ্রমণ মানুষের জ্ঞান ভান্ডার বিকশিত করে। পৃথিবীতে এমন অনেক পর্যটনকেন্দ্র আছে যার সৌন্দর্য্য, মোহনীয় দৃশ্য দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর স্থানগুলোতে ঘুরে আসুন। মনের সব বিষাদ, দুশ্চিন্তা, খারাপ লাগা দূর করে ভুলিয়ে দেবে আপনার প্রতিদিনের জগৎ। বিশ্বের সেরা ১০ জায়গার সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরা হলো।

তাজমহল, ভারত

ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সাদা মার্বেলের সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে, যা সম্পন্ন হয়েছিল প্রায় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। বর্তমানে, তাজমহলে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২ লাখ পর্যটক বিদেশি, যা ভারতের সবচেয়ে জনপিয় পর্যটনকেন্দ্র।

আইফেল টাওয়ার, ফ্রান্স

আইফেল টাওয়ার, প্যারিসের সেইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত লোহা তৈরি পৃথিবীর অন্যতম নিদর্শন। গোস্তাব আইফেল ১৮৮৯ সালে এটি নির্মাণ করেন। ১০৫০ ফুট উচ্চতার এ বিশাল টাওয়ার টি মাত্র ৩০০ জন শ্রমিক ২ বছর ২ মাস ২ দিনে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। ফরাসী বিপ্লব স্মরণীয় করে রাখতে প্যারিস শহরে নির্মাণ করা হয়েছিলো আইফেল টাওয়ার। সূর্যাস্তের পর প্রতি ঘন্টায় ৫ মিনিটি করে ২০০০০ বাল্বের আলোক ছটা এক অপরুপ সৈৗন্দর্য্য ধারন করে যা কিনা পর্যটকদের আকর্ষনীয় করে তুলে।

গ্রেটওয়াল, চীন

সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত চীনের এ মহাপ্রাচীরটি বিশ্বের মানবসৃষ্ট অন্যতম বড় নিদর্শন। এটি পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা যা চাঁদ থেকে দেখা যায়। খ্রিস্টের জন্মের আগে থেকে উত্তরের মঙ্গল আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য চীনের সম্রাটরা এটি নির্মাণ শুরু করে। ২২০-২০৬ খ্রিস্টপূর্বে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দেয়ালগুলো নির্মাণ করা হয়। পূর্বে ডাংডং থকে শুরু করে পশ্চিমে লপ লেক পর্যন্ত ৮৮৫০ কিমি. দীর্ঘ এ দেয়ালটির বিস্তৃতি।

গিজার পিরামিড, মিশর

প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগের তৈরি। মিশরের পুরনো রাজরাজাদের সংরক্ষিত স্মৃতিচিহ্ন। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকরা প্রথম এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। সপ্তাশ্চর্যের সর্বশেষ তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালের ৭ জুলাই। এ তালিকায় প্রথমেই স্থান পেয়েছে গিজার পিরামিড। এটি মিসরের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও আকর্ষণীয় পিরামিড। যা খুফুর পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট এবং এটি প্রায় ৭৫৫ বর্গফুট জমির ওপরে স্থাপিত।

সিডনি অপেরা হাউস, অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউস। ১৯৫৯ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হতে লেগেছিল ১৪ বছর।বিস্ময়কর স্থাপনার তালিকায় এটিও রয়েছে। অপেরা হাউসটি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে। এটি নৌকার পাল আকৃতির ন্যায় দেখতে। অনেক ধরনের অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এ সিডনি অপেরা হাউস। অপেরা হাউসটি মহাসাগরের এক প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটা উপত্যকার মতো।

স্ট্যাচু অব লিবার্টি, আমেরিকা

আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। বিখ্যাত এই মূর্তিটি আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক। রোমান দেবী লিবার্টাসের আদলে, সবুজ রঙের ঢিলে ঢালা গাউন পরা এক নারীর অবয়ব স্ট্যাচু অব লিবাটি। ভাষ্কর্যটির বাইরের অবয়ব নকশা করেন ফরাসি স্থপতি ফ্রেডরিক বার্থোল্ডি এবং এর ভেতরের নকশা করেন, আরেক বিখ্যাত ফরাসি স্থপতি গুস্তাভ আইফেল, তিনি আইফেল টাওয়ারের নকশাকারী হিসেবে বিখ্যাত। অতীতে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে আমেরিকাকে সাহায্য করেছিল ফ্রান্স। আমেরিকার স্বাধীনতা অর্জনের ১০০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে, ১৮৮৬ সালে ফ্রান্স ভাষ্কর্যটি আমেরিকাকে উপহার দেয়। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লক্ষ লোক স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখতে আসে।

ইস্টার আইল্যান্ড মোওয়াই, চিলি

চিলির ইস্টার আইল্যান্ড মোওয়াই। মানুষের এই মূর্তিগুলো বিশাল বড় বড় পাথরের খোদাই করা অংশ। যুগ যুগ ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এই মূর্তিগুলো। চিলির উপকূল থেকে দুই হাজার মাইলেরও বেশি দূরে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ইস্টার আইল্যান্ডের আরেক নাম রাপা নুই। এ দ্বীপের প্রাচীন ভাস্কর্য নিয়ে রহস্যের সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মোয়াই নামের এসব বিখ্যাত ভাস্কর্যগুলো আহু নামের স্মৃতিস্তম্ভের ওপর স্থাপিত।

মাউন্ট রাশমো, আমেরিকা

আমেরিকার সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের কিস্টোনে অবস্থিত মাউন্ট রাশমোর। গ্রানাইট পাথরের পাহাড় কেটে তৈরি করা একটি মনুমেন্ট। ভাস্কর গাটজন বর্গলাম এটি নির্মাণ করেন। ৬০-ফুট (১৮ মি) উচ্চতার এই প্রেসিডেন্সিয়াল ভাস্কর্য দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ১৩০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকৃত যে চারজন মার্কিন রাষ্ট্রপতির আবক্ষমূর্তি স্থান পেয়েছে তারা হলেন, জর্জ ওয়াশিংটন, থমাস জেফারসন, থিওডোর রুজভেল্ট, এবং আব্রাহাম লিংকন। প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন।

আঙ্করভাট, কম্বোডিয়া

আঙ্করভাট কম্বোডিয়ার আংকরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মধ্যযুগীয় মন্দির। সুবিশাল এই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির। ১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা ২য় সূর্যবর্মণ। তিনি এটিকে তার রাজধানী ও প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। আঙ্করভাটের নির্মাণশৈলী খেমারুজ সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শিল্পকলার অনুপম নিদর্শন। এটি কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে, এবং দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।

পিসার হেলানো স্তম্ভ, ইতালি

ইটালির লিনিং টাওয়ার অব পিসা। মার্বেলের তৈরি এই সৌধটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম। স্তম্ভটি ঘন্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। এর এক পাশ হেলে থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই এই স্তম্ভের এক দিক থেকে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলে পড়া রোধ ও ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করা গিয়েছে।

-জেডসি