ঢাকা, শনিবার ১৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৪৯:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা বিশ্বে প্রতি ২০ নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না পলাতক ব্যক্তিরা ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান হাদির পরিবারের পাশে ডা. জুবাইদা রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ কোটি টাকার আমন ধানের চারা বিক্রির প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা বিক্রির হাট জমে উঠেছে। এই বছর প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুর এলাকার বৃহৎ হাটটিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় করছেন। চারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় চারার হাটটি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে।
সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলার সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুর এলাকার মৌসুমি চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন মৌসুমে এই চারার হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় বেশ জমজমাট। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দ মতো চারা দেখে দাম বলছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারা প্রকারভেদ অনুযায়ী দাম চাচ্ছেন।
হাটে চারা আঁটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আঁটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আঁটি প্রকারভেদে ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো চারা কিনে তাদের পছন্দ মতো বাহনে করে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ অন্যতম। জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে আসা কৃষক পাইকাররা এই ধানের চারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, এই হাটে চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত চারা পেয়ে বেশ খুশি। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা। অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। সামনের দিন গুলোতে যদি এমনভাবে চারা বিক্রি হয় তাহলে তারা লাভবান হবেন।
জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকা থেকে চারা কিনতে আসা ক্রেতা মো. আবুল হাসেম মিয়া নামের কৃষক জানান, প্রতি বছরই এই হাট থেকে ধানের চারা (জালা) কিনে থাকি। বিআর-২২ জাতের ২০ মোটা চারা ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। ১ কানি (৩০ শতাংশ ১ কানি) থেকে একটু বেশি জমিতে এই চারাগুলো বপন করতে পারবো। গত বছর থেকে এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। এই বাজারের চারার মান অনেক ভালো। চারা ভালো হলে ধানের উৎপাদন ও ভালো হয়।
জেলার নাসিরনগর উপজেলা নাসিরপুর থেকে আসা ক্রেতা মাখন দাস বলেন, আমন মৌসুমে এই অস্থায়ী চারার হাটটি জমে। আশপাশের বিক্রেতারা এখানে চারা বিক্রি করে থাকে। তার ৬ কানি জমির জন্য এখান থেকে চারা কিনবেন। ২৮ মোটা বিআর-২২ জাতের চারা ২৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। দেড় কানির মতো জমিতে এই চারা রোপণ করা যাবে। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নিজের পছন্দ মতো চারা কিনতে পেরে খুশি।
হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার খাড়ি এলাকার বিক্রিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের চারা চাষ করেছি। চারা ভালোই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়ে থাকে। বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে এমন বিক্রি হলে ভালো লাভবান হবো।
তিনি জানান, এই হাটে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকসহ পার্শ্ববর্তী জেলার কৃষকেরা চারা ক্রয় করতে আসেন।
এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, নন্দনপুরের চারার হাট প্রতিদিন বসে। এই বাজারে মান সম্মত চারা পাওয়া যায়। এই চারা জেলার বাহিরেও চাহিদা রয়েছে। উন্নত চারা তৈরির জন্য আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই বাজারে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়ে থাকে। এই বছর প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।
তিনি আরো জানান, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর জমিতে ধানের চারা বীজতলা রোপণের লক্ষ্য মাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ হেক্টর। তিনি আরও জানান, এবার আমাদের রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৫ ০০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৫৫ হাজার ৪২ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯৯ ভাগ জমিতে রোপা আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে।