ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৪৭:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

ভোলায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে আবাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ মেট্রিকটন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ মেট্রিকটন করে। অনেক কৃষক আগাম শাক-সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। প্রথম দিকের সবজি হওয়াতে চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। 

এদিকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি উৎপাদনে কৃষকদের ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ও চরফকিরা গ্রামের শতভাগ জমি জৈব সার ব্যবহার হচ্ছে। ফলে রাসয়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে সবজি।

কৃষি বিভাগ জানায়, এসব সবজির মধ্যে লাল শাক, টমেটো, মুলা, ক্যাপসিক্যাম, ফুল কপি, বাঁধা কপি, বেগুন, লাউ, শিম, বটবটি, ওলকপি, শালগম, ধনে পাতা, মিষ্টি কুমোড়, পালং শাক রয়েছে। বিশেষ করে জেলার বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রতিবছরই প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়ে আসছে। এসব চরে ক্যাপসিক্যম, স্টবেরি, করলা, রেখা, চিচিঙ্গা আবাদ বেশি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার  হুমায়ুন কবির জানান, এবছর জেলায় ২৫’শ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ২৫’শ কৃষককে ৭ প্রকারের শাক-সবজির বীজ, সার ও অনান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। একইসাথে দেওয়া হয়েছে কারিগরী প্রশিক্ষণ। অল্প কিছু দিন পরেই পুরোদমে শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ শুরু হবে এ জেলায়।

উপজেলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর গ্রামের কৃষক মাইনুল, জাবেদ ও বারেক বলেন, তারা ২ একর জমিতে ফুল কপি, লাউ, শিম ও মূলা আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্তমানে জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পান বলেও জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো: এনায়েতউল্লাহ বলেন, জেলায় প্রতিবছরই শীতকালীন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল, ঢাকা হয়ে অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়। আমরা কৃষকদের বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাদের উন্নত জাত ও লাগসই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করানো হচ্ছে । বিশেষ করে গত কয়েকবছর ধরে চরাঞ্চলগুলোতে ক্যাপসিক্যাম চাষ ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এখানে সবজির বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।