মাকে আমার সব সময় মনে পড়ে: তপতী বসু
তপতী বসু | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:৫৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
লেখক তপতী বসুর মা। ছবি: লেখক।
ইংরেজী ১৯৪০ সালের প্রথম দিকে আমার মা লেখাপড়া করেছিলেন ফকিরহাটের মূলঘর বালিকা বিদ্যালয়ে৷ কল্পনা করতে ভালো লাগে মা দু'বেনী দুলিয়ে বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আর মার পিছনে উড়ছে ধূলো মাখা ঝরাপাতা৷
তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে মা আসেন আমাদের বাড়ি পারমধুদিয়া গ্রামে৷ একটু একটু করে মা সংসারী হয়ে ওঠেন৷ যে রাজনীতি মা বুঝতেন না, সেই রাজনীতির কালো বাষ্প প্রতিনিয়ত মায়ের জীবনকে বিধ্বস্ত করেছে, আর বিনিময়ে মা দেশের প্রতি নিরন্তর এক গভীর টান অনুভব করেছেন৷
ভালোবেসেছেন-মানুষকেও, তবে খুব বেশি বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইতেন আমাদের পুরানো গাছগুলোর সাথে৷ সকালে কাজের ফাঁকে সময় পেতেন না৷ বিকেল হলে ঠিক কোনো একটা গাছ স্পর্শ করে দাঁড়িয়ে থাকতেন! এক মায়াময় স্বরে অপূর্ব শব্দ বন্ধনে মা একসাথে দুটো গাছকে পরিচিত করতেন—‘চালতে তলার আমগাছ, কদম গাছের পাশে কাঁঠালগাছ বা পলাশ ফুলের ঘাটের তালগাছ’৷
বাইরের পৃথিবীর অন্যায়-অসত্য-হিংসার যে কষ্ট তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে, গাছপালা হয়ত তার ভাগ কিছুটা নিয়ে নিত৷ একই সাথে আশেপাশের সবার জন্যেই ছিল গভীর ভালোবাসা৷ আকাশের পাখি, পুকুরের মাছ, উঠানের কুকুর..কেউ তাঁর সংসারে অভূক্ত থাকত না!
মা কোনো অতি বা মহামানবী ছিলেন না! নিতান্তই সাধারণ একজন-কিন্তু তাঁর জীবনের পবিত্র পাতাগুলো ছিল অসাধারণ অক্ষরে লেখা৷ সেখানে মায়া-মমতা-ক্ষমার এক অনন্য মাধুর্যে পাশের মানুষগুলোকে লাইট হাউজের মত তাঁর দিকে আকৃষ্ট করে রাখত, দিশা দিত!
হতাশা ছিল না তাঁর অভিধানে-কর্মষ্পৃহার আনন্দ মা তাঁর সন্তানদের সব না পাওয়ার বেদনাকে ভুলিয়ে রাখতে চাইতেন৷ এই ভাবে মা একদিন অসাধারণ হয়ে উঠলেন আমাদের কাছে! প্রতিটি সন্তান মনে মনে ভাবে -‘মা মনে হয় তাকেই সব থেকে ভালোবাসেন’!
মায়ের সাথে যখন শেষ দেখা হয়, আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম ক্লিনিকের করিডোরে৷ অপারেশনের পরে তাঁকে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম-যদি একবার মা আমাদের দিকে তাকান৷ মা কারো দিকে একবারও তাকানোর অবস্থায় ছিলেন না-পক্ষপাতহীন ভাবেই একা চলে গেছেন অনন্তের পথে৷ ঈশ্বরই কোনো পিছুটান নিয়ে তাঁর শেষ যাত্রা পথকে আর ভারী করে তুলতে চাননি!
এমন একটা ১৬ নভেম্বর; তারপর চলে গেলো সাতটা বছর৷ মাঝে মাঝে এক ফালি আকাশের দিকে তাকাই৷ কত প্রিয় মুখ সেখানে আলোর তারা হয়ে গেছে৷ সমুদ্রের অসীম জলরাশির মতন মায়ের হাসিময় মুখখানাই সব সময় মনে রাখি৷ ঈশ্বর নিশ্চয়ই প্রাপ্য জায়গায় মাকে স্থান দিয়েছেন৷ তবু মাকে আমার সব সময় মনে পড়ে....!!
# তপতী বসু, প্রবাসী লেখক। দিল্লি৷ গৌতম নগর৷
- প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের স্বর্ণজয়
- খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল
- অনেক প্রশংসা পাচ্ছি: তাসনিয়া ফারিণ
- কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কেউ হিট স্ট্রোক করলে কী করবেন?
- সালমান আমার জীবন: ঐশ্বরিয়া
- দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
- গোপালগঞ্জে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন
- দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন
- জয়পুরহাটে পাকিস্তানী হানাদাররা প্রথম গণহত্যা শুরু করে ২৫ এপ্রিল
- কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
- কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- রোমান্টিক যুগের অন্যতম কবি জন কিটস
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন