ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ২০:৩১:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

মারা গেলেন সেই নারী, মরদেহ ও শিশুকে রেখে পালিয়েছে স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কেরোসিনের আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হওয়া মৌসুমি আকতার (১৯) ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মারা গেছেন।

মৃত্যুর পর মরদেহ ও ১ মাস বয়সী পুত্র সন্তানকে হাসপাতালে রেখেই পালিয়েছে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই নারীর মামা ফারাজ উদ্দীন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আকালু (ডংগা) শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মৌসুমি আকতারের মামা ফারাজ উদ্দীন জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে ভাগনি মৌসুমি আকতার মারা যায়। মৃত্যুর খবর শুনে মরদেহ ও ১ মাস বয়সী পুত্র সন্তানকে রেখে স্বামী সাজেদুর রহমান ও শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে। ভাগনির সঙ্গে থাকা ৫০ বছর বয়সী নানি আফিয়া খাতুন ঢামেকের কাউন্টারে বসে নিরুপায় শিশুটিকে নিয়ে কান্নাকাটি করছে।

ফারাজ উদ্দীন আরও জানান, মৌসুমি আকতারের পরিবারের লোকজন না থাকায় ময়নাতদন্ত ও মরদেহ হস্তান্তর হয়নি। শনিবার ঢাকায় তার বাবা পৌঁছালে ময়নাতদন্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার ভোররাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামে ওই নারীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা করেছিল স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এমন অভিযোগ করেছিলেন তার বাবা সমির উদ্দীন।

এ ঘটনার পর ওই নারীকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুরে মেডিকেলে রেফার্ড করে। সোমবার সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মারা যান তিনি।

মেয়ের বাবা সমির উদ্দীন ঢাকায় যাওয়ার পূর্বে জানান, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি জামাই ও তার পরিবারের লোকজনের বিচার চাই।

বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহাবুব আলম গত সোমবার বলেছিলেন, কেরোসিনের আগুনে ওই নারীর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তার জ্ঞান ছিল না।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ঘটনার পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।