ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৪:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

মেঘনায় জেগে ওঠা চরে চিচিঙ্গার ভালো ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের প্রায় ৫০ একর জমিতে সবজি (চিচিঙ্গা) চাষ করে সবুজ বিপ্লব ঘটালেন স্থানীয় ১২ জন কৃষক। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চিচিঙ্গা চাষ করে বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন এখন এসব প্রান্তিক কৃষকের।

ফসলের ভালো উৎপাদনে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে পরিচর্যা ও বাজারজাতকরণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উৎপাদিত এসব সবজি অনেকটাই কীটনাশকমুক্ত ও সুস্বাধু হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র বিক্রিতে আশাবাদী চাষীরা।

এদিকে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জানা যায়, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের উত্তর চর মেঘায় জেগে ওঠে নতুন এই চরটি। সদর উপজেলার চররমনী মোহনে অবস্থিত এ চর। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজের সমারোহ। এমন দৃশ্য প্রায় ৫০ একর জমিজুড়ে। শীত মৌসুমে শশা, চিচিঙ্গা, শিম, খিরা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করছেন এখানকার কৃষকেরা।

নিজেদের অভিজ্ঞতা ও চাষাবাদের কৌশলে তারা ফসল উৎপাদন করে যাচ্ছেন। চিচিঙ্গা উচ্চ ফলনশীল, কম খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অনেক পরিবারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। চলতি বছর শুধু চর মেঘায় ৫০ একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে। যা থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এসব চাষিরা।

কৃষকরা জানায়, মেঘনার বুকে বেশ কয়েকটি চর জেগে উঠেছে। মূল ভূখণ্ড থেকে চরগুলো বিচ্ছিন্ন। চরের মাটি এবং আবহাওয়া সবজি আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। গত ৪ বছর থেকে চরের জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছেন। নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা চাষাবাদে সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে ১২ জন কৃষক প্রায় ৫০ একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে প্রত্যেকের প্রায় ৫০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পুরো মৌসুমে প্রত্যেকে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পচিালক ড. জাকির হোসেন বলেন, বিচ্ছিন্ন চরে সবজি আবাদে কৃষকরা সফল হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।