ময়মনসিংহে একটি গ্রাম বিক্রি করে দিলেন এক ব্যক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৫ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
অবশেষে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ৪ জন জনসংখ্যা নিয়ে গড়ে উঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম। বিগত ৪ মাস আগে এই গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে এই গ্রামটি বিক্রি করে দেন। তবে বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের ঘটনা প্রকাশ পায় দেশের অনেক গণমাধ্যমে। এরপরই আজব এই গ্রাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ নামে এই গ্রামের মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতক। এই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বসতি উত্তরাধিকার সূত্রে মো. সিরাজুল সরকার স্ত্রী ও সন্তানসহ মোট ৪ জন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। যেখানে দুটি বসত ঘর, একটি গোয়াল ঘর, আছে একটি ছোট পুকুর ও একটি টয়লেট ছাড়াও বেশ কিছু গাছ-গাছালি। অন্যের জমির আইল দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। আর এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ নামে একটি গ্রাম।
বাড়িটির পূর্বের মালিক সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লিখক হিসেবে কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানে কাগজে কলমে এই বাড়িকে ঘিরেই গ্রামের পরিচয়। উপজেলার উত্তর দিকে এই গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামের পাশেই পশ্চিমে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাগজপত্রে মৌজার নামও উমানাথপুর। এর আশপাশে গ্রামগুলো হলো- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর ও পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর। মো. সিরাজ সরকারের নামীয় ২৫ শতক জমির ওপর একটি বাড়িটি অবস্থিত। আর এই বাড়িটি ঘিরে উমানাথপুর গ্রামের অস্তিত্ব। এই ইউনিয়নে মোট গ্রামের সংখ্যা ৪৩টি। একটি গ্রামে সর্বোচ্চ লোকসংখ্যা আছে কমপক্ষে ২০ হাজার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত প্রায় চার মাসে ১৫ লাখ টাকায় এই বাড়িটি বা গ্রামটি বিক্রি করে দেন সিরাজুল ইসলাম সরকার। গত এক সপ্তাহ আগে সব কিছু সম্পন্ন হয়।
সিরাজুল ইসলাম সরকার জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ি প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রি করে একটু কমদামে পাশেই অন্য গ্রামে জমি কিনেছেন। সেখানেই নতুন বাড়ি করে বসবাস করবেন বলেও জানান তিনি।
বাড়ি তো নয় পুরো গ্রামটিই তো বিক্রি করে দিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে সিরাজ সরকার বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যারা থাকবেন তারা তো ভাগ্যবান। গত প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’
বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের গ্রামের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তুফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে ফোন ধরেন তার ছেলে মোস্তুফা কামাল।
তিনি ওই বাড়ি কেনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার বাবা সবকিছু নিয়ে এই বাড়িটি ক্রয় করেছেন ১৫ লাখ টাকায়। রেজিস্ট্রিসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ টাকা। যেদিন সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে পরদিনই তিন ভাই, মা ও বাবাকে নিয়ে বাড়িতে উঠেছেন। এখন তাদের সদস্য সংখ্যা ৯ জন। বাড়িটি কিনতে পেরে তারা সবাই খুশি। কারণ এটা শুধু বাড়িই নয়, পুরো একটা গ্রামের পরিচয়।
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

