ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৪৩:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ৫ নিত্যপেণ্যর দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চাঁদ দেখা গেলে আগামী ১২ মার্চ শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ১৫ দিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যর দাম ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাপ্তান বাজার ও রায়েরবাগ বাজারে চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুর ও মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫টাকা থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা করতে দেখা গেছে।  

বাজার দুটিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা হয়েছে।


কাপ্তান বাজারের মায়ের দোয়া মুদি দোকানের মালিক মোহাম্মদ বেলয়েত হোসেন বলেন, রমজানের আসতে এখনও প্রায় ১৫ দিন বাকি। এরই মধ্যে সব কিছুর দাম বেড়েছে। চিনির দাম কেজিতে ৭ থেকে ১২টাকা বেড়ে ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ২৫ দিন আগেরও পাইকারি কিনতাম ১৩০ টাকা। সেটা এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৭ টাকায়। প্যাকেট চিনি ১৪৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ছোলা ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ৮৫ টাকা থেকে ৯০টাকায় বিক্রি করছি। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বেড়ে  ১১৫-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সাদা আটা ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বাড়তি দামে কিনে সামান্য লাভ বিক্রি করছি। সরকারের উচিৎ কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা। বিশেষ করে যারা বড় বড় পাইকারি ব্যবসায়ী তাদের মানি রিসিভ বা রশিদ দেখা প্রয়োজন। তারা কত টাকায় কিনলো এবং কত টাকায় বিক্রি করছে তা দেখে  আইনুগ ব্যবস্থা নেওয়া।


রায়েরবাগ বাজারের ফল ব্যবসায়ী বোরহানের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ২০০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর মোটামুটি মানের খেজুর ৭০০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কাপ্তান বাজারের মেসার্স লামিয়া ট্রেডার্সের বিক্রেতা মোহম্মদ সালাম হাওলাদার জানান, গত বছর রমজানে ১২০টাকায় চিনি বিক্রি করেছি এবছর ১৪৫ -১৫০ টাকায় কেজি বিক্রি করছি। গত বছর ছোলা বিক্রি করেছিলাম ৮০ টাকা কেজি, এখন ১০৫-১১৫ টাকায়(মানভেদে) টাকা  বিক্রি করছি।


কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মোঃ শামীম মিয়া বলেন, জানুয়ারির শেষের দিকে মুরগি ১৮০ থেকে  ১৮৫ টাকা করে বিক্রি করেছি।  ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করোছে। শবে বরাতের আগের দিন ২১০ টাকা থেকে ২১৫টাকা করে প্রতি কেজি বয়লার মুরগী বিক্রি করছি। এছাড়া অন্যান্য মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার মনিটরিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের তুলনায় ১৮ ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। গত মাসে এই সময়ে বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।

কাপ্তান বজারে বাজার করতে আসা জসিম উদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব জিনিসের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আয় সেভাবে বাড়ছে না। এখন গত বছর এই সময় পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৩৫-৪০ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজ এখন ১১৫ টাকা। এছাড়া চিনি, ছোলার দামও বেড়েছে। রমজানের ১৫ দিন বাকি এখনই এত দাম, রমজান শুরু হলে কী হবে সেটা নিয়ে টেনশনে আছি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে মানবিকতা নিয়ে ব্যবসা করুন। সরকার রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সাধারণ মানুষ যেনো ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। কোনো মিল কিংবা পণ্য আমদানিকারক ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য সরবরাহ না করলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং করে আআইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ককর গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)  শুল্ক-কর কমানোর ঘোষণা দিলেও  এখনও বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমার লক্ষণ মিলছেনা।