ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১:৪৬:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

পুরানো ছবি

পুরানো ছবি

রোজা আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। রোজার মাসে কয়েকটি পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে। প্রতিবছরই এ সময় পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ বছরও পণ্যমূল্য বেড়েছে। তবে রমজানে জনমনে স্বস্তি দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে রোজায় যে ছয়টি পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্যে বিক্রির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। এই ছয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, ডাল ও খেজুর। খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের।

আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। শুধু রোজা সামনে রেখে দেশে প্রায় ১০-১২ হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানি করা এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা, তেল, দুধ, চিনি, খেজুর, মটর, মসুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল। ব্যবসায়ীরা এবার আগেভাগে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করায় ইতোমধ্যে দ্বিগুণ পণ্যসামগ্রী দেশে এসেছে। তবে পণ্য নিয়ে যেন কোনো ধরনের কারসাজি করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা-টিসিবি প্রথমবারের মতো দ্বিগুণ পরিমাণ নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে সারাদেশে। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য, রোজায় স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে সস্তায় ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের মতো পণ্য পৌঁছে দেওয়া। সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে সরকারের সর্বোচ্চ নজর এখন বাজারের দিকে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রমজান সামনে রেখে এবার তিন মাস আগে থেকে আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারি সেই পরামর্শ নিয়ে দেশে ভোগ্যপণ্যের আমদানি ও বাজারজাতকারী জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ চাল, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, গম, পেঁয়াজ, মসলাপাতি ও খেজুর আমদানি করে। ইতোমধ্যে আমদানি করা পণ্যের বড় অংশ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়ে পৌঁছে গেছে দেশের বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোয়। আমদানি করা পণ্যে ঠাসা এখন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এবং ঢাকার মৌলভীবাজার, বেগমবাজার, বাদামতলী, মোহাম্মদপুর ও শ্যামপুর কৃষিপণ্যের মার্কেট। ভোগ্যপণ্যের জায়ান্ট গ্রুপ হিসেবে খ্যাত এস আলম গ্রুপ, নূরজাহান গ্রুপ, মোস্তফা গ্রুপ, বিএসএম গ্রুপ, এমইবি গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলি ও আবুল খায়ের গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপ রোজা সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন ছয় পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্যে বিক্রির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে সারা বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২১ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কেবল রোজার মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টনের মতো। সারা বছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে ৩ লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রোজায়। সারা বছর যেখানে ৫ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে রোজায় চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মতো। ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রোজার মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার ৫ লাখ টনই ব্যয় হয় রোজার সময়।

অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে এবারই প্রথমবাবের মতো দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে ‘ট্রাকসেল’ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে পবিত্র রোজা শুরু হতে পারে। তবে ক্রেতাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে ১ এপ্রিল থেকে টিসিবি বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে।

রোজা সামনে রেখে এ মুহূর্তে আড়াই কোটি লিটার ভোজ্যতেল, ১৭ হাজার টন ডাল, ৬০০ টন ছোলা, ১৩ হাজার টন চিনি ও অন্যান্য পণ্যের মজুদ নিয়ে সুলভ মূল্যের বাজার ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি।

আসন্ন রমজান মাসে খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, দ্বিগুণ খাদ্য আমদানির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি বিশাল পরিমাণ খাদ্যপণ্য আমদানির চিন্তা করছে, যেন কোনো অবস্থাতেই সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়।