ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১:৪৯:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুক: প্রধানমন্ত্রী সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

রোজী জামাল : এক অসমাপ্ত ভালবাসার সংজ্ঞা

সালেহীন বাবু | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৮:৫৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার

গোলাপের মত প্রষ্ফুটিত, সুশ্রী ছিলেন বলে বঙ্গবন্ধু আদর করে তার ভাগ্নীর নাম রেখেছিলেন রোজী। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে শেখ জামালের সাথে বিয়ে হওয়ার ২৮ দিনের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন রোজী জামাল। মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্বপ্ন দেখার আগেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন রোজী।


রোজী জামালের বাবা এটিএম সৈয়দ হোসেন ছিলেন অতিরিক্ত সচিব। মা খাদিজা হোসেন লিলি বঙ্গবন্ধুর ছোট বোন এবং শেখ পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ। আবার এই দম্পতির সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন রোজী জামাল। তারা ছিলেন ৫ ভাই-বোন। বড় বোন শেলী জামান, দ্বিতীয় বোন পলি ওয়াদুদ, তৃতীয় বোন ডলি জামান, চতুর্থ জন ছিলেন একমাত্র ভাই সাদেক হোসেন বাবলু এবং সবার ছোট বোন রোজী জামাল।


বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের ছিলেন রোজী। বোনের মেয়েকে নিজের মেয়েদের মতই ভালবাসতেন। শেখ কামালের বিয়ে হওয়ার সময় রোজীর বয়স ছিল ১৭ বছর।


১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই শেখ কামালের বিয়ের দিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার জামালের জন্য বউ খুঁজতে দূরে যেতে হবে না। বিষয়টি ঐ দিন খোলাসা না করলেও পরের দিন ছোট বোন খাদেজা হোসেন লিলিকে ফোন করে বলেছিলেন তোমার রোজীকে আমি নিলাম।

 

তারপর ১৯৭৫ সালের ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মেঝ ছেলে শেখ জামালের সাথে রোজীর বিয়ে হয়। পরম আদরে ছেলে আর তার নববধূকে আশীর্বাদ করেন বঙ্গবন্ধু। বিয়ের সময় বদরুন্নেসা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের  শিক্ষার্থী ছিলেন রোজী জামাল। নতুন সংসারে স্বামী শেখ জামালের সাথে আগত দিনগুলোর স্বপ্ন বোনা শুরু করেছিল মেয়েটি। কিন্তু কেইবা জানত এভাবে দুজনকেই চলে যেতে হবে।



হত্যার মাত্র ২৮ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল মেয়েটির। কি অপরাধ ছিল তার! নতুন সংসারে স্বামীর সামনেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রোজীকে। ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাড়ির দোতলায় ঘাতকের বুলেটের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটির নিথর দেহটি পড়েছিল অন্য সবার মাঝে। তখনও তার দু’হাতে শোভা পাচ্ছিল সদ্য বিয়ের মেহেদির আলপনা। মৃত্যুর সময় রোজীর অভিব্যক্তি কেমন ছিল! কল্পনা করা যায় কি! এ বাস্তব গল্প যেন সব প্রেমের, ভালবাসার উপাখ্যানকে হার মনিয়ে যায়। যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ২৮ দিন। মাত্র কদিনেই সমাপ্ত হল অসমাপ্ত ভালবাসার সংজ্ঞায়।