লকডাউনে অপ্রস্তুত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১৬ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে রেড (লাল) জোন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব এলাকা লকডাউনের সিদ্বান্ত নেবে। গ্রিন (সবুজ) জোন এলাকায় সরকারের আগে জারি করা আদেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু থাকবে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আদেশ জারি করেছে সরকার। এরই মধ্যে রেড জোনভুক্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজধানীর রেড জোনভুক্ত ৪৫ এলাকা লকডাউন করতে হিমশিম খাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। কয়েক দফা সভা করেও উত্তর সিটি করপোরেশন লকডাউন কার্যকর করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন করণীয় ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার সভা ডেকেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোনো এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন। আর রাজধানীসহ মহানগরীগুলোতে লকডাউন ম্যাপ, সময় ও করণীয় ঠিক করবে সিটি করপোরেশন। তাদের সহায়তায় সরকারের যে যে মন্ত্রণালয়ের লোকবলসহ যা দরকার তাই দেবে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোভিড আক্রান্ত কিছু এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ঢাকার এলাকাগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি। কিন্তু নির্দেশনা হচ্ছে, সিভিল সার্জনরা নিজেরাই জোনভিত্তিক এলাকা ঘোষণা করবেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করব। এটি স্থানীয়ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, লকডাউন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সেটি বাস্তবায়নে অনেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর জড়িত। তাই এককভাবে কারও পক্ষে কোনো এলাকা লকডাউন করা সম্ভব নয়।
সংক্রমণের হারের দিক দিয়ে ঢাকার দুই সিটি এলাকার ৪৫ এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও সোমবার পর্যন্ত লকডাউন করা হয়নি। শুধু পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, রেড জোন এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত হয়নি। এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। দক্ষিণে আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) সভা ডেকেছে। লকডাউন করতে আমাদের পুলিশ ফোর্স নেই। পুলিশের রেগুলার ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিসের বাইরে আমাদের রিজার্ভ ফোর্স দেবে। কতখানি এলাকা লকডাউন করব তার ডিমান্ড পুলিশকে দিচ্ছি। তারাও তাদের সক্ষমতা জানাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আমাদের ডিমান্ড যাবে। যারা হোম ডেলিভারি দেবে তাদের কাছে লকডাউন এলাকার জনসংখ্যা অনুযায়ী কতগুলো গাড়ি লাগবে তা জানাতে হবে। তাদের সে ক্যাপাসিটি থাকতে হবে। সব ডিপার্টমেন্ড রেডি হলে তারপর আমরা তারিখ নির্ধারণ করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন করতে হলে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করতে হবে। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করলেই হবে না। সমন্বিত প্রস্তুতি শেষেই লকডাউন ঘোষণা করা হবে। কবে সে প্রস্তুতি শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।
অপরদিকে ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক বলেন, আমরা তো একটি সরকারি সংস্থা। আমাদেরকে নির্দেশ দিতে হবে যে- তুমি তোমার এই এলাকা লকডাউন করো। তাহলেই আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো। কিন্তু এই নির্দেশ তো কেউ আমাদেরকে দেয়নি। এটা আমাদেরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণলয় অফিসিয়ালি নির্দেশ দিতে হবে। এখন পর্যন্ত লকডাউনের বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনও নির্দেশনা আসেনি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা কমিটি করা হয়েছে। সেখানে আমাদের মেয়রকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কমিটির নিচে কারও স্বাক্ষর নেই। এভাবে তো হতে পারে না। তাছাড়া, লকডাউনের তালিকায় মোহাম্মদপুর রয়েছে। এখন এই এলাকাতো অনেক বড়। আমাদের ডেমরা এলাকা রাখা হয়েছে। সেখানে চারটির মতো ওয়ার্ড রয়েছে। এখন ম্যাপিংয়ে সবগুলো ওয়ার্ড পড়ে কিনা, সেটাও জানার বিষয় আছে। আমরা বলেছি, এলাকাগুলোকে সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। তা না হলে, কীভাবে লকডাউনে যাবো? আমরা এলাকাভিত্তিক ডিমার্কেশন চেয়েছি। এটা এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) করছে।
সিইও আরও বলেন, আমরা লকডাউনের বিষয়ে মেয়রের সভাপতিত্বে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বৈঠকে বসছি। প্রথমে আমাদের সব কাউন্সিলরদের ডেকেছি। পরে আবার নিষেধ করে দিয়েছি। কারণ কোন কাউন্সিলরের এলাকা লকডাউন এলাকায় পড়েছে, কোনটা পড়েনি সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কাল সকালের মধ্যে যদি আমাদেরকে ম্যাপিং পাঠানো হয়, তাহলে আমরা সেটা দেখে কোন কোন ওয়ার্ড পড়েছে সেটা নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে ডাকতে পারবো। সব মিলিয়ে কাল এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। আর উত্তর সিটির মেয়র অলরেডি বলেছেন ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। ম্যাপ পেলে লকডাউন কার্যকর করতে ডিএসসিসিরও একই সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
-জেডসি
- বিশ্বকাপ জয় প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য নেইমারের
- ঋণের চাপে গলায় ফাঁস নিলেন গৃহবধূ
- আগের ফর্মে ফেরত আসলাম: মিষ্টি জান্নাত
- ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ‘ইন্ডাস্ট্রিতে পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্য দেখা যায়’
- পুলিশ সদস্যের মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- বর্ণবাদের বিষবাষ্প এবার খাজার দুই মেয়ের দিকে
- ‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’
- ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে উগ্রবাদের স্থান হবে না’
- দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
- সরকারি হলো ১২ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের নতুন চুক্তি
- শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী খাবেন?
- দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা
- প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক
- কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
- সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নোরা ফাতেহি
- গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা
- ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ
- বরের জুতা লুকানোয় সংঘর্ষ, ভেঙে গেল বিয়ে
- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
- নারী সাংবাদিকতার সংগ্রাম ও সম্ভাবনার দলিল
- ‘ভিজে যাচ্ছিল পোশাক, ভয়ে কাঁপছিলাম’
- পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল
- নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের
- আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার
- উসকানিমূলক বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় হামলা: উদীচী
- ‘বিশ্বসেরা হতে ইয়ামালের বান্ধবী থাকা গুরুত্বপূর্ণ’
- তদন্তে জানা গেল, মেসিকে আনতে কত খরচ করেছে ভারত
- ফেসবুকে লিংক শেয়ারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ











