ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৫:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

সংকট নেই, তবুও বাড়ছে আলুর দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

এ বছর অস্থির পণ্য বাজারে গাইবান্ধায় সচরাচর স্থিতিশীল ছিল আলুর দাম। এখন সেই আলু একমাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে আলুও যেন ভোক্তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকট না থাকলেও হঠাৎ করে আলুর মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা গেছে, আলুর ঊর্ধ্বগতির চিত্র। অগ্নিমূল্য নিত্যপণ্যের বাজার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আলু। খাবার প্লেটে প্রধান সবজি ওই আলুর দাম বেড়ে হওয়ায় নাভিশ্বাস হয়ে ওঠেছেন ভোক্তারা।

এই আলুর দামবৃদ্ধির কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হলে যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বছর জেলার কোল্ড স্টোরগুলোতে পর্যাপ্ত আলু থাকার পরও অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে কেউ বলেছেন অন্যান্য পণ্যের দামবৃদ্ধির প্রভাব, আবার কেউ বলেছেন বাড়তি চাহিদার কথা। এছাড়া সিন্ডিকেটের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তাই কৃত্রিম সংকট দেখিও আলুর দাম বাড়ছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যেমতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জেলায় ১০ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। এ থেকে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৯০ মেট্রিক টন। আর বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫৯ মেট্রিকটন। চাহিদা করা এসব আলু ছাড়াও জেলার ৫ কোল্ড স্টোরে আরও মজুদ আছে ২৯ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন আলু।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মৌসুম চলাকালে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। এখন চাহিদার তুলনায় সেই আলুর বস্তাগুলো হিমাগার থেকে বের না করায় আলুর দাম হুহু করে বাড়ছে। এতে করে চরম ক্ষব্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা।

গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে আলু কিনতে আসা মিজবাহুল ইসলাম বলেন, তরকারির মধ্যে আলুই হচ্ছে প্রধান সবজি। দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে এটি কমবেশি থাকে। এর আগে আলু ছাড়া সব ধরনের সবজির দামবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু সেই বৃদ্ধির তালিকায় নতুনভাবে যোগ হয়েছে আলুও। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, রিকশাভ্যান ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার ৪ সদস্যের হাড়িতে প্রত্যেকদিন অন্তত ১ কেজি আলুর চাহিদা রয়েছে। এখন দাম বাড়ার কারণে আধা কেজি করে আলু কেনা হচ্ছে। এভাবে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির ফলে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ছে। এ যেন মড়ার ওপর খড়ার ঘা।

খুচরা বিক্রেতা ফুল মিয়া বলেন, কোরবানি ঈদের এক সপ্তাহ আগে আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। এরই মধ্যে ব্যাপারীদের কাছ থেকে বেশি দামে আলু কেনার ফলে কিছুটা লাভ রেখে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ এই আলুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে অস্থির হয়ে ওঠেছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

পাইকারি বিক্রেতা (ব্যাপারী) সেলিম মিয়া বলেন, গাইবান্ধার ধাপেরহাট ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকার হিমাগার থেকে আলুর বস্তা ক্রয় করা হচ্ছে। কোরবানি ঈদ থেকে আলুর বাড়তি চাহিদার কারণে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ধাপেরহাট আরভি কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম বলেন, এই হিমাগারে পর্যাপ্ত আলু মজুদ আছে। ইদানিং আলুর দামবৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা অনিয়মিত আলু বের করছেন।

গাইবান্ধা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুস ছালাম বলেন, শুধু আলুই নয়, কেউ যেন অতিরিক্ত দামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে না পারে, সে বিষয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।