ঢাকা, বুধবার ২৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১৮:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অর্থ নেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন শেখ হাসিনা-সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫

হলি আর্টিজান: সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষায় নিহতদের স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে তিন বছর আগে সংঘটিত ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা মামলার রায় আজ বুধবার। ওই জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্বজনরা আশা করছেন, আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আসবে।

রাষ্ট্রপক্ষ, মামলার তদন্তকারী সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও একই আশা প্রকাশ করছেন। রায় শুনতে নিহতদের স্বজনসহ ওই হামলায় যেসব দেশের নাগরিক নিহত হয়েছিলেন, সেই দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

রায় সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির) বলেন, ‘আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে।’ এ ছাড়া কয়েকটি ধারায় যাবজ্জীবন সাজাও প্রত্যাশা করছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি মূলত আসামিদের স্বীকারোক্তিনির্ভর। স্বীকারোক্তিগুলোও পরস্পরকে সমর্থন করেনি, যার ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া যেতে পারে।

হলি আর্টিজানে হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করলেও রায়ের অপেক্ষায় আছেন আটজন। কারণ বাকিরা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার হাজারবিঘি চানপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান (৬২), নওগাঁ জেলার মান্দা থানার সাবাইহাট কাঞ্চনপুর গ্রামের মো. আব্দুস সালাম সরদারের ছেলে আসলাম হোসেন সরদার ওরফে মোহন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ (২২), হাদিসুর রহমান সাগর, বগুড়া জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের মৃত রেজাউল হকের ছেলে রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে রাইফউল ইসলাম ওরফে রাফি ওরফে রিপন ওরফে হাসান (২২),গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মালঞ্চা গ্রামের মৃত ওসমান গণি মণ্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ (৩৪), কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার সাদিপুর কাবলিপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম শেখের ছেলে আব্দুস সবুর খান ওরফে হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে নাসরুল্লাহ (৩৫), জয়পুরহাট জেলার সদর থানার কাদোয়া কাড়াপাড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের ছেলে মো. হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস ওরফে আবু আল বাঙালি ওরফে আমজাদ ওরফে তৌফিক (৩৭),রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম মাস্টারের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম খালেদ ওরফে খালিদ ও বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার শেখের মাড়িয়া গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন (৩২)।

সব আসামিই কারাগারে রয়েছেন। এরা সরাসরি হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে হামলার পরিকল্পনা, অর্থ সংগ্রহ, অস্ত্র সংগ্রহ ও হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে জড়িত ছিলেন।

এই আট আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে আইনে।