ঢাকা, বুধবার ০১, মে ২০২৪ ৯:৫৮:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় আজ ৪৩.৭ ডিগ্রি, ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৫৩৫ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেশে ঢাকাসহ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ

হলে ওঠার দাবিতে ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

হলে ওঠার দাবিতে আন্দোলন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবস্থান করা বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হল গেটের সামনে বিভিন্ন প্লাকার্ড ও বালতি নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবাসনসংকট থাকায় বেগম রোকেয়া হলের প্রথম বর্ষের অর্ধশত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের তৃতীয় তলায় স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখার কয়েকটি কক্ষে রাখে হল প্রশাসন। ছাত্রীদের দাবি, এ বছরের জানুয়ারিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখার সময় তিন মাসের মধ্যে হলে ওঠানোর আশ্বাস দেয় হল প্রশাসন। কিন্তু আট মাস পার হলেও ওঠানোর ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ছাত্রীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখায় বসবাস করার কোনো পরিবেশ এখন নেই। বেশ কিছু দিন ধরে চলছে পানির সংকট। সেখানকার শৌচাগারে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। নিচতলা থেকে পানি নিয়ে গিয়ে গোসল, কাপড় ধোয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে ছাত্রীদের। তা ছাড়া প্রচণ্ড গরমে পর্যাপ্ত ফ্যান ও পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক টেবিলের ব্যবস্থা নেই। নেই ডাইনিং ও ক্যানটিনের কোনো ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবস্থান করাও অনেকটা অনিরাপদ।

আজ দুপুরে ওই ছাত্রীরা রোকেয়া হলের সামনে বিভিন্ন প্লাকার্ড ও বালতি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কটি অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে রাস্তায় চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় হলে ওঠার দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রীরা। তারা বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই। হল প্রশাসন তিন মাসের কথা বলে আট মাসেও তাদের হলে ওঠাতে পারেনি। শিগগির তাদের হলে ওঠানোর দাবি জানান ছাত্রীরা।

ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট মো. আশরাফুল হক, বেগম রোকেয়া হলের হাউস টিউটর এফ এম জামিল উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর মো. শহীদুল আলম প্রমুখ। এ সময় জামিল উদ্দিন ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা অবরোধ থেকে সরে আসেন। তিনি বলেন, হলের বর্ধিত অংশের নির্মাণাধীন কাজ নভেম্বর নাগাদ শেষ হবে। তখন ছাত্রীদের হলে ওঠানো হবে। এ সময় ছাত্রীরা হলের নির্মাণকাজে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলেন অভিযোগ করতে থাকেন।

রোকেয়া হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ জিয়াউল হক একটি গবেষণার কাজে ফরিদপুর অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে জিয়াউল হক বলেন, পানির পাম্পের সমস্যার জন্য ছাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হয়েছে। ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় এই মুহূর্তে ছাত্রীদের হলে ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। নির্মাণকাজে কোনো ধরনের ধীরগতি হচ্ছে না বলে জানান তিনি।