ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৪২:৪২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

হাওরে জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প নিয়ে ‘নাওবিবি’

বিনোদন প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত হাওরের প্রকৃতি, আবেগ ও রহস্যকাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি শেষ হয়েছে এর শুটিং।

গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস, প্রযোজনায় ম্যাক রিপন।

প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহাফুজ মুন্না, যিনি সম্প্রতি বড় পর্দায় ‘উড়াল’ সিনেমায় প্রশংসিত হয়েছেন। রহস্যময় তরুণী ‘মায়া’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন গায়িকা ইসরাত জাহান পমি। অভিনয়ে এটি তার প্রথম কাজ হলেও সংগীতে তিনি দেশ-বিদেশে পরিচিত। ছোটবেলায় দু’বার জিতেছেন ‘নতুন কুঁড়ি’ পুরস্কার।

চিত্রগ্রহণ করেছেন আনন্দ সরকার। এছাড়া ‘ফেঁউচ্চা’ চরিত্রে রয়েছেন শাহ শান্ত, আর একটি শিশু চরিত্রে দেখা যাবে শাহ ওবায়েদ নেহানকে।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মাহাফুজ মুন্না বলেন, কায়েস ভাইয়ের প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে চিত্রনাট্য পড়তেই মুগ্ধ হই। গল্প ও চরিত্রের বিশ্লেষণ অসাধারণ। স্বাধীন চলচ্চিত্রে টিমওয়ার্ক ভীষণ জরুরি, আর নাওবিবিতে আমি সেই টিমওয়ার্ক পেয়েছি।

অন্যদিকে, ইসরাত জাহান পমি জানান, মায়া চরিত্রে অভিনয় ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এখানে শুধু চরিত্র নয়, হাওরের প্রতিনিধিত্বও করতে হয়েছে। দর্শক আমার মাধ্যমে শুধু মায়াকে নয়, হাওরকেও দেখবে।

ফিল্মের  গল্পে দেখা যাবে-এক ট্র্যাভেলার হাওরে এসে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। রাতে পানিতে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে, আর সেই আগুনের উপর দাঁড়িয়ে থাকে রহস্যময়ী মায়া। তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে ট্র্যাভেলার ঢুকে যায় হাওরের অদ্ভুত রহস্যে, যেখানে মায়া ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় হাওরের আত্মা হিসেবে।

নির্মাতার ভাষ্যে, নাওবিবি মূলত হাওরের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি। পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি এতে রোমাঞ্চ, রহস্য ও আবেগও রয়েছে। পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পাঠানো হবে।