হারিয়ে যাওয়া বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৯:৫৫ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
হারিয়ে যাওয়া বাঁশ শিল্পকে আঁকড়ে ধরে এখনও জীবন ধারণ করছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার অর্ধশতাধিক পরিবার। বাঁশ থেকে তৈরি ডালা, কুলা, চালন, খইচালা, জালি, ঝাপনি, চাঙ্গারি, বাচ্চাদের ছোট কুলাসহ হরেক রকমের পণ্য হাটে হাটে বিক্রি করে নিজেদের যেমন বাঁচিয়ে রেখেছেন, ঠিক তেমনি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে টিকিয়ে রেখেছে এসব পরিবার।
বাঁশ বিক্রেতা মো. আবুল হোসেন বলেন, আমাদের বাঁশ বিক্রি নেই বললেই চলে। এখন মানুষ বিল্ডিংয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। তাই বাঁশ ব্যবহার দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সবুজ কালারের বাঁশ এখন শুকিয়ে সাদা হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে। বর্তমানে দিনে হাজার টাকাও বিক্রি করা কষ্ট হয়ে যায়। আগে দিনপ্রতি বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকাও বিক্রি করেছি।
আগৈলঝাড়া থানা সংলগ্ন এলাকায় বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করেন বিক্রেতা প্রতুল। তিনি জানান, অতীতে গ্রামে-গঞ্জে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রীর কদর ছিল অনেক। এসব পণ্য শোভা পেত প্রত্যেক বাড়িতে। অতীতে বাঁশের তৈরি তৈজসপত্রই ছিল সংসারের মূল ভরসা। কিন্তু কালক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঁশ শিল্পে ভাটা পড়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের ছোয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ শিল্প।
কিন্তু পূর্বপুরুষের ব্যবসাকে এখনও ধরে রেখেছেন উপজেলার পূর্ব বাকাল গ্রামের প্রতুল বাকচী, গৈলা গ্রামের অরুণ হালদারসহ আরও অনেকেই।
বাঁশ শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন বাগান থেকে ভালো ও লম্বামানের বাঁশ সংগ্রহ করে। পরে সেই বাঁশ প্রথমে চেঁছে পণ্যের আকার অনুযায়ী কেটে নেয়। কেটে নেওয়া অংশ থেকে বাঁশের পাতলা ও চিকন চাঁচ তৈরি করে তা দিয়ে ডালা, কুলা, চালনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। একজন কারিগর দিনে ৪ থেকে ৫টি বড় মাপের ডালি তৈরি করতে পারেন। পাইকারদের কাছে এই ডালা বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। আর খোলা বাজারে এই ডালা বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, বাঙালির ঐতিহ্য এসব পণ্য এখনও এলাকার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাঁশের তৈরি বাহারি পণ্যও বেঁচাকেনা হয়ে থাকে ভালো।
বাঁশ শিল্পের ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু করছেন। প্রতি হাটে ৭-৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন। এছাড়াও গ্রামের হাট বাজারে বাঁশের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি করেন। তাতে তার ভালো আয় হয়।
হাটের আরেক ব্যবসায়ী মো. জাকারিয়া জানান, বিভিন্ন হাটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যবসা করছেন। এখানে প্রতিটি পণ্য পিস ডালা বিক্রি হয় ৭০ টাকা, কুলা ১০০ টাকা, চালন ৮০ টাকা, ডালি ১০০ টাকা, ঝাঁপি ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রাহকরা তারা তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনে থাকেন।
রাংতা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, আমার পরিবারে সারা বছরই বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের স্বার্থেই পরিবেশবান্ধব এই শিল্পকে ধরে রাখতে হবে।
- হঠাৎ নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান!
- হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- কেরানীগঞ্জে ভবনে আগুন
- ব্যাচেলর পয়েন্টে যে চরিত্রে দেখা দিলেন স্পর্শিয়া
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে প্রকাশ্য হুমকি
- লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা
- ‘ডাক্তার ও নার্সদের রুমকে ‘পার্টি অফিস’ বানাবেন না’
- পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
- ফের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে গ্রেফতার করল ইরান
- হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান তাসনিম জারার
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
- ত্বকে বয়সের ছাপ? দূর করবে এই ৪ পানীয়
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
- আপেল নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন জয়া আহসান
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি: মেডিকেল বোর্ড
- পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
- ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
- তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
- ওপেনএআই`র অ্যাপ সাজেশন নিয়ে বিতর্ক
- ৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
- গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
- রাউটার যেখানে লাগালে ওয়াই-ফাইয়ের সেরা স্পিড পাবেন
- নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান
- সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে
- নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

