ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ২১:২০:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যৌন হয়রানি: ঢাবি অধ্যাপক নাদিরকে অব্যাহতি হজ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ জিম্মি মুক্তিতে হামাসের সম্মতির পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে

হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালালো স্বামীর পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামীর পরিবার। সোমবার এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তবে নিহতের বাবা আলম হোসেন একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে থানায় গেলে অভিযোগ গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ।

মৃত রিমু আক্তার শহরের দক্ষিণ সালন্দর শান্তি নগরে তার স্বামী তামিম হোসেনের পরিবারে বসবাস করতেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধায় এক মৃত মেয়েকে নিয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে আসে। এর কিছু সময় পরে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে লাশটি ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেই অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি অপারেশন জিয়ারুল জিয়া।

তিনি জানান, লাশটি থানায় আনার পর আমরা গৃহবধূর পরিবারের সন্ধান করতে থাকি। পরে মৃতের বাবার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের অবগত করা হয়। ঘটনাটিতে মামলা হয়েছে ও তদন্ত চলছে। তবে কেনো পুলিশ মৃতের পিতার অভিযোগ গ্রহণ করেনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ওসি।

এই বিষয়ে নিহত গৃহবধূ রিমুর বাবা আলম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে ১০ মাস আগেই মেয়টিকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই নেশা করে মেয়েকে নির্যাতন করতো।

বেশ কয়বার জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এবার তারা মেয়েটাকে মেরেই ফেললো। আমি এর বিচার চাই। জানিনা কার কাছে যাবো। পুলিশও আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

এই বিষয়ে জানতে নিহতের স্বামী তামিম হোসেনের বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তামিম হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, মেয়েটির মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগেই হয়েছে। তবে তার শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, তামিমের বাসায় গিয়ে পরিবারের কোনো সদস্যদের পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।