ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৩:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

হিজাব না পরায় ৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

স্কুলে হিজাব পরে না আসায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার। বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত রুনিয়া সরকার ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মাইসা জাহান, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফা হিজাব পরে না আসায় তাদের চুল কেটে নেওয়া বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা।

জানা গেছে, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে রুনিয়া সরকার নামে ওই শিক্ষিকা কাঁচি দিয়ে ৭ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

তারা জানায়, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার কাঁচি দিয়ে ৭ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, হিজাব না পরার কারণেই চুল কেটেছে।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি পরে জানতে পেরেছি। ৩ থেকে ৪ জন মেয়ের সামান্য চুল কেটেছেন তিনি। তবে তা হিজাব না পরার কারণে নয়। মেয়েরা একটু উশৃঙ্খলতা করেছিল বলে। 

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভুইয়া জানান, ঘটনা সত্য। চুল কাটার বিষয়টি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ স্বীকার করেছেন। আমি অভিযুক্ত শিক্ষিকার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। তবে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে শোকজসহ সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান উপজেলা ইউএনও সাব্বির আহমেদ জানান, আমি বুধবার অনেক রাতে বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযুক্ত রুনিয়া সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠানো হলেও তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।