ঢাকা, শুক্রবার ১৯, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৬:২৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

ঈদের সকালেও বাড়ল গরুর মাংসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ৩ মে ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঈদের হাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী গরুর মাংসের দাম। ৬৫০ থেকে ৬৮০, তবুও চাহিদার কমতি নেই। সেই মাংসের দাম ৭০০ টাকায়ও থামেনি। উল্টো ঈদের সকালে আরেক দফায় বেড়ে প্রতি কেজি হয়েছে ৭৫০ টাকা। 

বিক্রেতারা বলছেন, গরু কেনায় খরচ বেশি, তাই দাম বাড়াতে হয়েছে। আর ঈদের দিন পরিবারের লোকজন নিয়ে ভালো কিছু খেতে ৭৫০ টাকা কেজিতেই গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদের দিন সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারের মাংসের দোকানে বিক্রেতারা ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছেন। দাম বাড়ার পরও ক্রেতার কমতি নেই। প্রতিটি মাংসের দোকানেই ভিড় রয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায়ের পর রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন সততা হালাল মাংস বিতানে দেখা যায় একদাম ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছেন তারা। 

দোকানের মালিক খালেকুর রহমান বলেন, কী করব বলেন! গরু কেনায় দাম বেশি পড়েছে, এছাড়া গরু আনার সময় বিভিন্ন বকশিস, ঈদ বোনাস দিতে হয়, সব মিলিয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি না করলে লস হয়ে যায়।

সেই দোকানেই মাংস কিনতে এসেছেন আব্দুস সোবহান নামের বেসরকারি এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, বছরে বিশেষ একটি দিন আজ, সবার বাসায় মাংস রান্না হবে তাই এর চাহিদা অনেকগুণ বেশি। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম বাড়িয়ে দিল। এমনিতেই দাম বেশির কারণে সচরাচর গরুর মাংস কেনাই হয় না। রমজান মাসে দুই দিন গরুর মাংস কিনেছি ৬৮০ করে। গতকালও ৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে অনেক জায়গায়। কিন্তু আজ যখন কিনতে এলাম তখন দেখি এর দাম ৭৫০ টাকা।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানের মখলেছুর রহমানও জানালেন তারা গত রাত থেকেই ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ৭৫০ টাকা বেশি মনে হলেও আমাদের লাভ কিন্তু খুবই সীমিত। সারা বছর মাংস বিক্রি করি আর ঈদের সময় যদি মাংস না পায় তাহলে কাস্টমার চলে যাবে। তাই বিক্রি করছি, নইলে এত দামের গরু কিনে আর মাংস বিক্রি করতাম না। 

রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকায় আদর্শ মাংস বিতান থেকে ১৫০০ টাকায় দুই কেজি গরুর মাংস কিনেছেন মোজাম্মেল হক নামের একজন। তিনি বলেন, গরুর মাংস এখন আর সাধারণ ক্রেতাদের খাবার নয়, এটা শুধু বড়লোকদের জন্য। ঈদের দিন বাধ্য হয়ে গরুর মাংস কিনলাম, নইলে ৭৫০ টাকা কেজিতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। ঈদের দিন সবাই যেহেতু মাংস কেনে, চাহিদা থাকে অনেক বেশি, তাই এই সুযোগে এসব ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়। জিম্মি হয় সাধারণ ক্রেতারা। কিন্তু এই বিষয়ে বাজার মনিটরিংয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না শর্তে মাংসের দাম বাড়ার বিষয়ে বলেন, মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার একাধিক কারণ আছে। মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য একটি খাজনা নির্ধারণ করা আছে, কিন্তু গাবতলী পশুর হাটে বিশাল এক সিন্ডিকেট আছে। যাদের কারণে গরু বেশি দামে কিনতে হয়। তাই মাংসের দামও বেড়ে যায়।

মাংসের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীদের লাভ হয় না বরং লোকসান হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ বাড়তি দামে সাধারণ ক্রেতারা মাংস কেনেন না। যে কারণে বেশিরভাগ মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। আমরাও বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে চাই না। কিন্তু গরু কেনা থেকে শুরু করে দোকান পর্যন্ত আসতে বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে যায়, এরপর আমরা সীমিত লাভ করি। তবুও মাংস কিনতে ক্রেতাদের বেশি দাম পড়ে যায়।