ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৪০:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

কৃত্রিম সংকটে ফের বাড়ছে ভোজ্যতেলে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সরকারের কড়া নজরদারিতে ভোজ্যতেলের মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও রোজা শুরু হতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে দাম। দোকানিরা বলছেন, মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বাজারে তেলের সরবরাহ কম। ডিলাররাও দিতে গড়িমসি করছে। আবার দামও নিচ্ছে বেশি।

রমজান মাস শুরুর পর থেকে গত এক সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা।

ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্যাট কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেছে সরকার। তারপরও বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

খুচরা বাজারে রোজার দু-এক দিন আগে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকা দরে। মাঝে ১৬০ টাকায় নেমেছিল। গত দু-তিন দিন ধরে আবার দাম বেড়েছে। এখন আবার ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩২৮ টাকা ছিল, এখন ৩৩০ টাকা। আর পাঁচ লিটার ছিল ৭৭০ টাকায়। এখন আবার ৭৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলা সয়াবিনের দামও কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, এটা তো কোম্পানির লোক বলতে পারবে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে, দাম আরও বাড়তে পারে, মাল সাপ্লাই কম। আমরা ১০টা বোতল অর্ডার দিলে ৫টা দিচ্ছে। বলে দুই একদিন পর দিচ্ছি। নানা কারণ দেখিয়ে তেল দিতে গড়িমসি করছে তারা।

শুল্ক কমানোর পর গত ২০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ওই ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয় দোকানে যা তখন ৭৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মিলে দাম স্বাভাবিক থাকলেও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়েছি। পাঁচ পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।