ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:০২:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

চাঁদপুরের দুই গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৫ বুধবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও চাঁদপুরের দুই গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। আধুনিক যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া নেই কচুয়া উপজেলার জয়নগর ও কদমতলীা গ্রামে। সুশিক্ষা গ্রহণে নেই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বছরের পুরো সময় হেঁটে চলাই জয়নগর উত্তাংশ ও কদমতলী গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। 

২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের প্রচেষ্টায় তানজিলা নাহার হক প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় চালু করা হয়। 

জানা গেছে, তৎকালীন সময়ে ওই বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য জয়নগর গ্রামের অধিবাসী আব্দুর রহিম পাটওয়ারী ১৫ শতাংশসহ ৩৫ শতাংশ ভূমি দেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ওই সময়ে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন করা হয়। আসবাবপত্রসহ ভবনটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। 

ওই ভবনে চার শিক্ষকের মাধ্যমে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। যা প্রায় দুই বছর পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষকদের মাসিক বেতন, সরকারি বিভিন্ন বিধি বিধান না পূরন হওয়ায় দুই বছরের মাথায় ২০০৬ সালের শেষ দিকে তা বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘ দিন এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কাঁচা রাস্তা ও বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে অনেক কষ্টে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূরে রাগদৈল ও বায়েক গ্রামে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বিদ্যালয়ের জমি দাতা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী জানান, আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশু শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কোনো ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাই গ্রামের মানুষের পরামর্শে ওই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেই। মাঝ পথে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় নতুন করে বিদ্যালয়টি স্থাপনের জোর দাবি জানাই। 

স্থানীয় অধিবাসী বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াদুদ ব্যাপারী, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, বাবুল মিয়া ও সমাজ সেবক শহীদ উল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টি পূনরায় চালু সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা এ গ্রামের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় এগিয়ে নিতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করনের বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদন পেয়েছি। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়টি পুনরায় কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেওয়া হবে।