ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৪:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

চালান বেশি, তবু কমছে না শাক-সবজির দাম

আসমা আক্তার | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

রাজধানীর বাজারে শাক-সবজির চালান অনেক বেশি হলেও দামে কিন্তু কমতি নেই। বরং ইচ্ছেমত দাম হাকা হচ্ছে। একই শাক বা সবজি ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন দাম। অথচ দিন শেষে বিক্রেতাদের অনেক সবজি বিক্রি না হয়ে নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তায় রাস্তায় ভ্যানে করা বিক্রি করা শাক-সবজির দাম প্রকার ভেদে ৫ থেকে-১০ টাকা করে বেশি।

আজ শুক্রবার ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, চালান বেশি থাকার পরও কেন এত দাম। কোনো নজরদারি করা না হলে এই অবস্থা মারাত্নক আকার ধারণ করবে। তাদের বক্তব্য শতের সবজি বাজারে চলে এসেছে বেশ অনেক দিন আগে। এখন দামে শিথিলতা জরুরি।

আজ প্রতিকেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতিকেজি শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শসা।  প্রতিকেজি কচুর লতি ৪০ থেজে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা,  কাকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

প্রতি পিস বাধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার ফুল প্রতি তিন পিস ২০ টাকা। প্রতি আটি কলমি শাক, লাল শাক আটি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, পালং শাক ১৫ টাকায়, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

এদিকে প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, রসুন ভারতীয় প্রতিপাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৮০ টাকায় ও দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

আবার তুলনামূলকভাবে সুবিধা হয়েছে মাছ-মাংসের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ইলিশ মাছ ধরার নির্দিষ্ট মৌসুম থাকায় বাজারে ইলিশের যোগান ভালো। তাই দামটাও কিছুটা নাগালের মধ্যে। তবে আরও কম দাম আশা করছেন ক্রেতারা। 

বাজারে প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মাছের আকারভেদে প্রতিকেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগিতে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।